ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বিশ্বের এই দেশের, মহিলারা বিনামূল্যে পাবেন স‌্যানিটারি ন‌্যাপকিন-ট্যাম্পন

10:55 PM Nov 26, 2020 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্বসম্মতিক্রমে স্কটল‌্যান্ডের পার্লামেন্টে পাশ হয়ে গেল বিল। এবার থেকে দেশের প্রতিটি মহিলা বিনামূল্যে পাবেন স‌্যানিটারি ন‌্যাপকিন। বিশ্বে প্রথম দেশ হিসাবে এই পদক্ষেপ করল স্কটল‌্যান্ড (Scotland)।

Advertisement

ভারতের অধিকাংশ মহিলা এখনও স‌্যানিটারি ন‌্যাপকিন (Sanitary Napkin) ব‌্যবহার করারই সুযোগ পান না। নিজেদের মতো নানা ঘরোয়া অস্বাস্থ‌্যকর পদ্ধতিতে ঋতুকালীন সুরক্ষার ব‌্যবস্থা করেন ভারতের অন্তত সত্তর শতাংশ মহিলা। সমীক্ষাতে দেখা গিয়েছে, একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দু’টো দশক পার করে এসেও ছবিটা বদলায়নি ভারতে। এখনও নানা কুসংস্কার ও সামাজিক ট‌্যাবুর ফাঁদে তৃতীয় বিশ্বের বহু দেশেরই ছবিটা প্রায় একরকম। কিন্তু প্রথম বিশ্বের অন‌্যান‌্য দেশকে এক ধাক্কায় পিছনে ফেলে নতুন নজির সৃষ্টি করল স্কটল‌্যান্ড। মঙ্গলবার স্কটিশ পার্লামেন্টে ‘পিরিয়ড প্রোডাক্ট (ফ্রি প্রভিশন) আইন’ পাশ হল। এর ফলে সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান, সমস্ত মহিলাকে স‌্যানিটারি প্রোডাক্ট অর্থাৎ ন‌্যাপকিন এবং ট‌্যাম্পনের মতো ঋতুকালীন সুরক্ষার জন‌্য প্রয়োজনীয় দ্রব‌্য যখনই তাঁদের প্রয়োজন হবে বিনামূল্যে তার জোগান দেবে।

[আরও পড়ুন: গণকবর থেকে বেরিয়ে পড়ছে মিংকের মৃতদেহ, সংক্রমণের আশঙ্কায় ডেনমার্কের বাসিন্দারা]

লেবার পার্টির সদস‌্য মনিকা লেনন গত চার বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে লড়াই করে আসছেন। প্রধানত তাঁর উদ্যোগে গত বছর এপ্রিলে বিষয়টি পার্লামেন্টে পেশ করা হয়। উদ্দেশ‌্য ছিল ‘পিরিয়ড পভার্টি’ দূরীকরণ অর্থাৎ দারিদ্রের কারণে দেশের মানুষকে ঋতুকালীন অস্বাস্থ‌্যকর অবস্থা থেকে দূরে রাখা। লেনন বলেন, “এই বিষয়ক আইন প্রণয়ন অত‌্যন্ত দরকারি ছিল বিশেষত এই অতিমারীর পরিবেশে যখন সুস্বাস্থ‌্য বজায় রাখা অত‌্যন্ত দরকার। পরবর্তী পর্যায়ে ঋতুকালীন অবস্থা নিয়ে মানুষের মনের মধ্যে যে গোঁড়ামি ও কুসংস্কার রয়েছে তা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একজন মহিলার সুস্বাস্থ‌্য অবশ‌্যই অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।” একটি ভিডিও বার্তায় পার্লামেন্টের উদ্দেশে লেনন বলেন, “এটি স্কটল‌্যান্ডের জন‌্য অত‌্যন্ত গর্বের দিন। একই সঙ্গে গোটা বিশ্বের প্রতি একটি সংকেত বার্তা যে সব জায়গাতেই এই দ্রব‌্যগুলি বিনামূল্যে লভ‌্য হওয়া উচিত।”

Advertising
Advertising

স্কটল‌্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিয়ন বলেন, “দেশের সমস্ত নারীর জন‌্য এটি একটি অত‌্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।” ‘হাইজিন অ‌্যান্ড ইউ’ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা প্রিয়াঙ্কা নাগপাল জৈন বলেন, “ভারতে এই আইন প্রবর্তন করতে হলে তার জন‌্য পূনর্ব‌্যবহারযোগ‌্য দ্রব‌্য যেমন মেনস্ট্রুয়াল কাপ ইত‌্যাদি যেন সুপারিশ করা হয়।” তবে স্কটল‌্যান্ডের আইনে ‘যাদের প্রয়োজন’ বলতে ঠিক কী বোঝানো হয়েছে তা তিনি বুঝতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। এর মাধ‌্যমে সমস্ত মহিলা, যাঁদের স‌্যানিটারি ন‌্যাপকিন প্রয়োজন সকলকে বিনামূল্যে তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, নাকি যাঁরা নিজের সামর্থে তা কিনতে পারবেন না তাঁদের জন‌্যই এই আইন কার্যকর করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: স্পষ্ট জঙ্গিযোগ! ২৬/১১ মুম্বই হামলায় খতম লস্কর সদস্যদের স্মৃতিতে প্রার্থনাসভা পাকিস্তানে]

Advertisement
Next