সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই ফের ভয়াবহ ভূমিকম্পের স্মৃতি ফিরল নেপালে। রিখটার স্কেলে ৭.১ মাত্রায় কেঁপে উঠেছে নেপাল-তিব্বত সীমান্ত। তার জেরে ইতিমধ্যেই ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। গুরুতর আহত অন্তত ১০০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। পুরোদমে উদ্ধারকাজ চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমিলজি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি অনূভূত হয়। কম্পনের উৎসস্থল নেপাল-তিব্বত সীমান্তের কাছে শিজ্যাং। মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পন হয় রিখটার স্কেলে ৭.১ মাত্রায়। এই কম্পনের প্রভাব পড়ে দিল্লি, বিহার-সহ উত্তর ভারতের বিরাট অংশে। আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন আমজনতা।
প্রথম কম্পনের প্রায় আধঘণ্টার মধ্যেই আরও দুবার আফটার শক হয় ওই এলাকায়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২ মিনিটে ৪.৭ মাত্রায় আফটার শক হয়। পাঁচ মিনিটের মাথায় ফের ৪.৯ মাত্রায় কেঁপে ওঠে শিজ্যাং। এখানেই শেষ নয়। আরও তিনবার লাগাতার আফটারশক হয় ওই এলাকায়। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার সকালে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ৬ বার কম্পন অনূভূত হয় নেপাল-তিব্বত সীমান্তে। আর তাতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দুই দেশের বিশাল এলাকা। ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে বাড়ি। ভাইরাল হয়েছে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া শিগতাসে শহরের ভিডিও।
চিনা সংবাদমাধ্যমগুলির মতে, ভূমিকম্পে আপাতত ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে নেপাল এবং তিব্বতে। চিনের সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি সূত্রে জানা গিয়েছে, কম্পনের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডিংরি কাউন্টি। অন্তত ৬২ হাজার মানুষ বসবাস করেন সেখানে। ইতিমধ্যেই সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রবল ঠান্ডার কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যা বাড়ছে। ফলে বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যাও। আপাতত বিপর্যয় মোকাবিলায় সবরকম চেষ্টা করতে নির্দেশ দিয়েছেন জিনপিং।