সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নোবেলজয়ী ড. মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ১৫ উপদেষ্টার এই সরকার অধীনে সাধারণ নির্বাচনের হওয়ার কথা। সেই নির্বাচনের সময় দেশে ফিরবেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার একথা জানালেন হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
কোটা আন্দোলন থেকে হাসিনা হঠাও অভিযান চরম ওঠে গত ৫ আগস্ট। জনতার মিছিল গণভবনের উদ্দেশে যাত্রা করলে মুজিবকন্যাকে ৪৫ মিনিট সময় দেয় সেনা। তাঁকে প্রথমে সেনার কপ্টারে গণভবন থেকে সরিয়ে আনা হয়। এর পর বাংলাদেশি বায়ুসেনার সি-১৩০জে বিমানে দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে উড়িয়ে আনা হয়। এর পর থেকে দিল্লিতেই আছেন হাসিনা, রেহানা এবং তাঁর বিপদের সঙ্গীরা। হাসিনা যে ভারতেই আছেন, সেকথা সরকারিভাবে জানিয়েছেন খোদ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
[আরও পড়ুন: বামপন্থীরা অস্তিত্বের সংকটে ভুগবে, মোদি প্রধানমন্ত্রী হবেন, অনেক আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেন বুদ্ধ]
যদিও চর্চা ছিল, খুব শিগগির ভারত ছাড়বেন হাসিনা। আমেরিকা কিংবা ব্রিটেন যেতে পারেন তিনি। মুজিবকন্যার মার্কিন প্রবাসী হওয়ার কথা ভাবা হচ্ছিল, যেহেতু হাসিনার ছেলে জয় সেখানকার নাগরিক। যদিও ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ভিসা দিতে অস্বীকার করেছে আমেরিকা। তাহলে কি তিনি ব্রিটেনেই যাবেন? এই বিষয়ে যখন জল্পনা চরমে, তখনই টাইমস ইন্ডিয়াকে এক সাক্ষাৎকারে জয় জানালেন, "অল্প সময়ের জন্যই ভারতে আছেন তিনি (হাসিনা)। যখনই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবে, তখনই বাংলাদেশে ফিরবেন।"
[আরও পড়ুন: ‘গণআন্দোলন গড়ে তুলুন’, স্বাধীনতা দিবসের আগে ফের ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ঠাঁই হয়নি আওয়ামি লিগের। পাশাপাশি হাসিনা দেশ ছাড়ার পরে আওয়ামি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা শুরু হয়। ৫ আগস্ট হাসিনা দেশ ছাড়ার পরে ৩০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। যাঁদের অনেকেই আওয়ামি নেতা। যদিও বৃহস্পতিবার বেশ কিছু জেলায় আওয়ামি নেতা-কর্মীদের পথে নেমে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। এবার হাসিনার দেশ ফেরা নিয়ে জয়ের বক্তব্যে দলীয় কর্মীদের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।