সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকা অন্ধকার নামল আমেরিকার (America) একটি শহরে। নেপথ্যে একটি বিমান দুর্ঘটনা (Plain Crash)। রবিবার রাতে মন্টগোমরিতে (Montgomery) একটি ছোট বিমান ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের তারের উপরে। এরপরেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ওই এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তাদের পরামর্শ, বিপদ এড়াতে আপাতত শহরের দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকাটি এড়িয়ে যান।
আমেরিকার একটি নামী সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে একটি ছোট বিমান ভেঙে পড়ে মন্টগোমরিতে। সেটি বিদ্যুতের তারের উপরে ভেঙে পড়ায় আচমকা অন্ধকার নামে গোটা শহরে। এই ঘটনায় মন্টগোমারির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল অন্ধকারে ডুবে যায়। স্থানী প্রশাসনের দাবি, বিদ্যুতের তারের উপর বিমান দুর্ঘটনার কারণে প্রায় ৯০ হাজার বাড়ি নিমেষে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন: রাজনীতির কারাগারে ‘বন্দি’ জাতির জনক, গুজরাটে ভোটের আগে ক্ষোভে ফুঁসছে সবরমতী]
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রায় দশতলা উপর থেকে বিমানটি আছড়ে পড়েছিল। ঘটনার সময় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল এলাকায়। বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা ছিল না বলেই কি দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত সঠিক কারণ জানা যায়নি। গোটা বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে টুইট করে দুর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে মন্টগোমারি পুলিশ (Montgomery Police)।
এক বিবৃতিতে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, একটি ছোট আকৃতির বিমান ভেঙে পড়েছে রথবেরি ডিআর এবং গোশেন আরডি এলাকায়। এর ফলে শহরের একাংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিপদ এড়াতে ওই এলাকায় আপাতত যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নাগরিকদের তা মানতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: চিনের বিক্ষোভের ছবি তোলার ‘অপরাধ’, গ্রেপ্তার করে BBC’র সাংবাদিককে মার জিনপিং প্রশাসনের]
প্রসঙ্গত, গত মার্চে চিনে (China) বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনা ছিল মারাত্মক। দক্ষিণ গুয়াংঝাউ প্রদেশে পাহাড়ি এলাকায় ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়েছিল বোয়িং ৭৩৭ বিমান (Boeing 737 aircraft)। দুর্ঘটনায় কেউই বাঁচেননি। পরে দুর্ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসলে। মনে করা হচ্ছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘটানো হয়েছিল ওই দুর্ঘটনা। উদ্ধার হওয়া বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকেই এমন তথ্য সামনে এসেছে বলে খবর।