সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) নির্বাচনে হেরে গেলেন তালহা সইদ। জানা গিয়েছে, নির্দল প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের পুত্র। সারা দেশেই সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি হাফিজের (Hafiz Saeed) দল পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ। অন্যদিকে, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনেছে ইমরান খানের দল পিটিআই।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটায় শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। তার পর থেকে ভোট গণনা শুরু হয়ে শুক্রবার ভোরবেলার মধ্যে ফল ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কার দখলে যাবে ২৬৫ আসনের পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি, শুক্রবার বেলা গড়িয়ে গেলেও সেটা জানা যায়নি। পাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, দেশজুড়ে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণেই ভোট গণনায় দেরি হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ঝুলিতে ৯৭.৬ শতাংশ ভোট! মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর দৌড়ে অদম্য ট্রাম্প]
এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে প্রতিবাদ শুরু করেছে ইমরানের (Imran Khan) দল পিটিআই। তাদের দাবি, নির্বাচনের ফল পালটে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেই জন্যই ফলপ্রকাশে এত দেরি। সেই সঙ্গে শাসক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)কে ইমরানের দলের বার্তা, “নির্বাচনে হার স্বীকার করে নিন। কারণ ইতিমধ্যেই ১৫০টি আসনে জয়ী হয়েছেন পিটিআই সমর্থিত নির্দলরা। তারাই সরকার গড়বেন।” তবে গণনার শুরুতে এগিয়ে থাকা প্রার্থীরা বেলা বাড়তেই পিছিয়ে পড়েছেন।
এহেন পরিস্থিতিতে জানা যায়, লাহোর কেন্দ্র থেকে হেরে গিয়েছেন লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের পুত্র। পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর কাছে হেরেছেন তিনি। উল্লেখ্য, হাফিজের ছেলে তালহা সইদকে ‘স্বতন্ত্র সন্ত্রাসবাদী’ তকমা দিয়েছে ভারত। কিন্তু জঙ্গি নেতা থেকে সাংসদ হয়ে ওঠা আর হল না তাঁর।