সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার মধ্যরাতে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালিয়েছেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। তিনি সরকারি ভাবে ইস্তফা না দিলেও এই পরিস্থিতিতে সদ্য প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেই (Ranil Wickremesinghe) দেশের কার্যকরী প্রেসিডেন্ট। বুধবার সকালে তিনি দেশজুড়ে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করলেন। রাজাপক্ষের দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভের আঁচ আরও তীব্র হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই এমন পদক্ষেপ বিক্রমাসিংহের।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, রাজধানী কলম্বো-সহ পশ্চিম শ্রীলঙ্কায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলম্বোর রাজপথে হাজার হাজার মানুষ নেমে পড়েছেন। তাঁদের দাবি, দেশ ছেড়ে মালদ্বীপে পালিয়ে যাওয়া রাজাপক্ষেকে অবিলম্বে ইস্তফা দিতে হবে। বিক্ষোভকারীদের সামলাতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ। জলকামানও ব্যবহার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের তাও দমানো যাচ্ছে না। তাদের প্রধানমন্ত্রী বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে জুতো ছুঁড়তে দেখা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলায় দূষণের নিরিখে প্রথমে বাঁকুড়া, প্রথম দশে নেই কলকাতা]
এদিকে শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রকের প্রাক্তন উপদেষ্টা সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ”আমরা চাইছি প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ইস্তফা দিলে প্রধানমন্ত্রীই হন কার্যকরী প্রেসিডেন্ট। তাই মানুষ চাইছে, ওঁরা দু’জনই পদত্যাগ করুন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে। সেনাবাহিনীও রাস্তায় নেমেছে।” কিন্তু সেনা-পুলিশ মিলেও বিক্ষোভকারীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর দখলের চেষ্টা করছে তারা। রাষ্ট্রপতি ভবন এখনও তাদের দখলেই রয়েছে।
এদিকে বিপন্ন দেশবাসীকে ফেলে মঙ্গলবার রাতেই দেশ ছেড়ে পালান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Sri Lanka President Gotabaya Rajapaksa)। সপরিবারে তিনি মালদ্বীপে গাঢাকা দিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্য।