সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘোষিত ২০২৫ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার। বুধবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস বা ধাতব জৈব কাঠামো সংক্রান্ত গবেষণার জন্য তিন বিজ্ঞানী সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন এবং ওমর এম ইয়াঘিকে চলতি বছরে পুরস্কৃত করা হচ্ছে।
নোবেল কমিটির তথ্য অনুযায়ী, সুসুমু কিতাগাওয়া জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রিচার্ড রবসন। আমেরিকার বার্কলেতে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত ওমর এম ইয়াঘি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মার্কিন মুলুকে পড়াশোনা করলেও ইয়াঘি জন্ম জর্ডনের আম্মানে। এক সময় প্যালেস্টাইন থেকে শরণার্থী হিসাবে জর্ডনে পৌঁছেছিল ইয়াঘির পরিবার। অর্থাৎ কিনা পরিবার সূত্রে বিশ্ববিখ্যাত এই বিজ্ঞানী একজন প্যালেস্তিনীয়। যে প্যালেস্টাইন বর্তমানে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর হামলায় রক্তাক্ত। প্যালেস্টাইনকে বিশ্বের বহু দেশ এখনও স্বীকৃতি না দিলেও সেই দেশে শিকড় থাকা রসায়নের বিজ্ঞানী ইয়াঘি জিতে নিলেন নোবেল পুরস্কারের মতো সর্বোচ্চ স্বীকৃতি।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ইয়াঘি, রবসন এবং কিতাগাওয়া গ্যাস এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ প্রবাহিত হতে পারে এমন বিশাল ছিদ্র-সহ আণবিক কাঠামো তৈরি করেছেন। এই ধাতু জৈব কাঠামো মরুভূমির বাতাস থেকে জল সংগ্রহ করতে, কার্বন ডাই অক্সাইড ধারণ করতে, বিষাক্ত গ্যাস সঞ্চয় করতে বা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অনুঘটক প্রবেশ করানোর কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, ১ কোটি ১০ লক্ষ সুইডিশ ক্রোনা অর্থপুরস্কার তিন বিজ্ঞানীর মধ্যে সমভাবে বণ্টন করা হবে।
