সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী মুসলিম অধ্যুষিত দেশ তাজিকিস্তানে (Tajikistan) নিষিদ্ধ হতে চলেছে হিজাব। সেদেশের সংসদের উচ্চকক্ষে পাশ হয়েছে এই সংক্রান্ত বিল। পাশাপাশি খুশির ইদ ও বকরি ইদে রাস্তায় বেরিয়ে উদযাপনে মাততে পারবে না শিশুরা, এমন বিলও পাশ হয়েছে। সাধারণত এই সব উৎসবের দিনে শিশুরা অন্যদের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।
গত ৮ মে সংসদের নিম্নকক্ষে হিজাব (Hijab) সংক্রান্ত বিলটি পাশ হয়েছিল। এবার উচ্চকক্ষেও পাশ হল এই বিল। বিলটিতে প্রথাগত পোশাককে টার্গেট করা হয়েছে। বিশেষত হিজাব। যাকে 'এলিয়েনদের পোশাক' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ তা যেন তাজিকিস্তানের সংস্কৃতির সঙ্গে ঠিক খাপ যায় না। ইদ যাপনকেও বিদেশি সংস্কৃতি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ডার্ক ওয়েবে ফাঁস নেটের প্রশ্নপত্র, কেন্দ্রের অভিযোগের পরই মামলা দায়ের সিবিআইয়ের]
প্রসঙ্গত, সরকারি ভাবে হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সবে নেওয়া হলেও বহু বছর ধরেই তাজিকিস্তানে হিজাব নিষিদ্ধ। তবে তাতে কোনও সরকারি সিলমোহর ছিল না। পাশাপাশি বড় দাড়ি রাখাও সেদেশে কার্যত নিষিদ্ধই। ২০০৭ সালে সেদেশের শিক্ষা মন্ত্রক ইসলামিক পোশাক ও মিনিস্কার্টের মতো পশ্চিমী পোশাক, দুই-ই পড়ুয়াদের জন্য নিষিদ্ধ করে।
সাম্প্রতিক সময়ে তাজিকিস্তানে জাতীয় পোশাক পরার উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে মহিলাদের জাতীয় পোশাক পরার আর্জি জানিয়ে মেসেজ পাঠানোর কথাও জানা দিয়েছে। তাজিকিস্তানের ৯৬ শতাংশেরও বেশি মানুষ মুসলিম। ২০০৯ সাল থেকে সেদেশের সরকারি ধর্ম ইসলাম। তবে এরই পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মপালনের পূর্ণ স্বাধীনতাও দিয়েছে তাজিক প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: এখনই কার্যকর নয় বিতর্কিত তিন ফৌজদারি আইন, মোদিকে চিঠি মমতার]
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কা এর আগে জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তি দেখিয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। একই পথে হেঁটেছে ফ্রান্সও। ভারতের কর্নাটকের স্কুল-কলেজে ছাত্রীদের হিজাব নিষিদ্ধ করা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল।