সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে সমস্ত আশঙ্কার অবসান। কাবুলে (Kabul) প্রবেশ করল তালিবান (Taliban)। তবে আলোচনার মাধ্যমেই আফগান (Afghanistan) সরকারের থেকে ক্ষমতার হস্তান্তর চায় তারা। তালিবানের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, জনবহুল কাবুলে তারা যুদ্ধ করতে চায় না। এদিকে আফগানের ঘানি সরকারের দাবি, কাবুল এখনও নিরাপদ। কিন্তু সেই দাবির সারবত্তা ক্রমশই ক্ষীণ হয়ে উঠছে। যে কোনও মুহূর্তেই কাবুল দখল করে নিতে পারে তালিবানরা।
রবিবারই মাজার-ই-শরিফ ও জালালাবাদের মতো দু’টি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করে ফেলেছিল তালিবানরা। তখনই বোঝা গিয়েছিল সম্ভবত আজই কাবুলে ঢুকে পড়বে তালিবানরা। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই কাবুলে প্রবেশ করল তালিবান।
গত কয়েকদিনেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল বিষয়টা। তালিবানের দখলদারির দাপটে শীঘ্রই যে কাবুলে উড়তে চলেছে জঙ্গিদের পতাকা তা এররকম নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল। দেশের স্বার্থে তালিবানকে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল আফগান সরকার। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কার্যত অসহায় আফগানিস্তানের (Afghanistan) প্রশাসন। কান্নাভেজা গলায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি (Ashraf Ghani)।
[আরও পড়ুন: Semen Terror: দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ‘বীর্য সন্ত্রাস’, আতঙ্কে রাস্তায় মেয়েরা]
তিনি বলেন, ”দেশের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে আমার কাজ, দেশবাসীকে রক্ষা করা। দেশ এই মুহূর্তে গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। আমি রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজছি। আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি।” মাঝে তিনি আক্ষেপের সুরে এও জানান, গত ২০ বছরে যা যা ফিরে পাওয়া গিয়েছিল, তা সবই আবার হারিয়ে গেল।
২০০২ সালে আফগানিস্তানকে তালিবানের কবজামুক্ত করেছিল মার্কিন সেনা। শুরু হয়েছিল এক নতুন যুগের। কিন্তু সেই যুগের অবসান এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। গত মে মাসে মার্কিন সেনা আফগানিস্তান থেকে সরতে শুরু করতেই দেশের দখলদারি নিতে শুরু করেছিল তালিবানরা।