আফগানিস্তানে ফিরে আসুন, তালিবানের অনুরোধে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন হিন্দু-শিখরা

12:24 PM Jul 26, 2022 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু-শিখদের আফগানিস্তানে (Afghanistan) ফিরে আসার অনুরোধ করল তালিবান। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তালিবান। সেই কারণেই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া হিন্দু এবং শিখদের আবার ফিরে আসতে অনুরোধ জানিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের হিন্দু এবং শিখ কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তালিবান (Taliban) মন্ত্রী মোল্লা আবদুল ওয়াসি। তারপরেই এই ঘোষণা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কাবুলের একটি গুরুদ্বারে জঙ্গি হামলা হয়েছিল।

Advertisement

টুইট করে আফগানিস্তানের চিফ স্টাফের তরফে বলা হয়েছে, সোমবার হিন্দু এবং শিখ (Hindu and Sikh Delegation) সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মন্ত্রী ওয়াসি। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, যে সমস্ত ভারতীয় শিখরা দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁরা ফিরে আসুন। দেশ এখন আগের থেকে অনেকটাই নিরাপদ, এমন দাবি করেছে তালিবান। তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। তালিবানের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরও বড় হামলার হাত থেকে গুরুদ্বারকে রক্ষা করার জন্য শিখ নেতারা ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন।  

[আরও পড়ুন: কুমারী মা-ধর্ষিতার সন্তানের পরিচয়পত্রে থাকবে শুধু মায়ের নাম, রায় কেরল হাই কোর্টের]

প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল কাবুলের কার্তে পারওয়ান এলাকার একটি গুরুদ্বার। সেখানে আটকে পড়া শিখদের পণবন্দি করে রেখেছিল জঙ্গিরা। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল আফগান শিখ সবিন্দর সিংয়ের। ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের খোরাসান শাখা। জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত গুরুদ্বার মেরামত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিবান সরকার। এছাড়াও তালিব সরকারের প্রতিনিধিরা শিখদের সঙ্গে দেখা করে সান্ত্বনা দিয়েছেন।

Advertising
Advertising

হামলার ঘটনার পরেই জরুরি ভিত্তিতে ভিসার ব্যবস্থা করে আফগানিস্তান থেকে শিখদের ভারতে ফিরিয়ে আনার কাজ হয়। প্রথম দফায় ১১১ জন আফগান শিখকে ভিসা দেয় ভারত সরকার। বিশেষ বিমানে করে ভারতে ফিরে আসেন ১১ জন শিখ। গুরুদ্বারে হামলায় মৃত সবিন্দরের চিতাভস্ম নিয়েই দিল্লিতে পা রেখেছিলেন তাঁরা। অন্তত ১৫০ জন আফগান শিখ ভারতে ফিরে আসতে আগ্রহী বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার কথা জানিয়েছিল তালিবান। তারপরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে এই বার্তা। কী চাইছে তালিবান, সেদিকেই এখন তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল। 

[আরও পড়ুন: ‘ফতোয়া’য় পরোয়া নেই, মেঘালয়ের দলীয় সাংসদদের নিয়ে সংসদ চত্বরে ব্যাপক বিক্ষোভ তৃণমূলের]

Advertisement
Next