সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আমেরিকার রাজপথে মানুষের ঢল। নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন, লস অ্যাঞ্জেলস থেকে হিউস্টন- সর্বত্রই একই দৃশ্য। হাজার হাজার মানুষ নেমে এসেছেন পথে। হাতে প্ল্যাকার্ড। মার্কিন মুলুকের ১২০০-র বেশি জায়গায় দেখা গিয়েছে এই 'হ্যান্ডস অফ' প্রোটেস্ট। দেড়শোরও বেশি সংগঠন রয়েছে এই বিক্ষোভ-মিছিলের নেতৃত্বে। যার মধ্যে মানবাধিকার সংগঠন যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে LGBTQ+ আন্দোলনকারী, শ্রমিক ইউনিয়ন ইত্যাদি। সকলেরই দাবি, ''আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হারাচ্ছি।'' তাঁদের গর্জন, ''ট্রাম্প একজন বদ্ধ উন্মাদ। উনি আমাদের বিশ্বব্যাপী মন্দার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।''
পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে হোয়াইট হাউসকে রীতিমতো ট্রাম্পের পক্ষে বিবৃতি দিতে হয়েছে। সেই বিবৃতিতে ডেমোক্র্যাটদের কাঠগড়ায় তুলে বলা হয়েছে, 'রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট। তিনি সব সময়ই মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও যোগ্য সুবিধাভোগীদের জন্য জনস্বাস্থ্য বিমার অধিকারকে রক্ষা করবেন। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটরা চায় অবৈধ অভিবাসীদের সামাজিক নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা প্রদান করা। যা সরকারের প্রকল্পগুলিকে ধ্বংস করে দেবে এবং মার্কিন প্রবীণদের ধ্বংস করবে।'
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার মসনদে বসেছেন ট্রাম্প। আর বসার পর, এমনকী শপথগ্রহণের আগে থেকেই তাঁকে নানা বিষয়ে গর্জন করতে দেখা গিয়েছে। তারপর ক্ষমতায় বসার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে অভিবাসীদের দেশে ফেরানো কিংবা শুল্ক নীতির মতো নানা পদক্ষেপ রয়েছে।
ট্রাম্প ঘোষিত শুল্কযুদ্ধের পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় বাজারমুখী মার্কিন নাগরিকেরা। রীতিমতো ব্যাগ ভর্তি করে দোকানে দোকানে তাঁদের ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। উদ্দেশ্য, মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় আগে থেকেই ভাঁড়ার ভরিয়ে রাখা। এই দৃশ্যই বুঝিয়ে দিচ্ছে শুল্ক-কাঁটায় ঘায়েল হতে ভয় পাচ্ছেন মার্কিন নাগরিকরাও।
ট্রাম্প-বিরোধী মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে বহু প্রতিবাদীকে নানা দাবিতে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বলছেন, আমেরিকায় শুরু হওয়া নয়া ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধেই তাঁদের বিক্ষোভ। কেবল ট্রাম্প নয়, এলন মাস্কের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। স্লোগান দিচ্ছেন, ''আমেরিকায় ফ্যাসিবাদ চলবে না।'' সব মিলিয়ে আমেরিকায় প্রবল বিক্ষোভে চাপ বাড়ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপরে।