সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলেতের ভোটে ভূস্বর্গের চমকে দেওয়া ভূমিকা! কনজারভেটিভ নেতা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর পিছনে অন্যতম কারণ লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টার্মারের (Keir Starmer) উত্থান। স্টার্মারের দল এবার ৪০০-র বেশি আসন পেয়েছে। যার নেপথ্যে কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) ইস্যু নিয়ে দলের ধারণা বদলে বড় ভূমিকা নিয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। উল্লেখ্য, ব্রিটেনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিকের সংখ্যা কম নয়।
ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কে বদল এসেছে। ১৯৪৭-এ দেশ ছাড়ে সাহেবরা। এর পর কাশ্মীর 'সমস্যা'কে ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু বলে ব্রিটেন। ভারত সরকারের সঙ্গে লেবার পার্টির সম্পর্কও ছিল সুমধুর। কিন্তু জেরেমি করবিন যখন লেবার পার্টির নেতৃত্বে ছিলেন তখন থেকেই সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। ২০১৯ সালে জেরেমি নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি একটি প্রস্তাব পাশ করে, যেখানে কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়। উপত্যকার মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও সুর চড়িয়েছিলেন লেবার পার্টি নেতৃত্ব। ওই প্রস্তাবের নিন্দা করে করেছিল নয়াদিল্লি।
[আরও পড়ুন: স্বামীর বিদায়ী ভাষণের সময় দামি পোশাকে অক্ষতা! নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে সুনাক জায়া]
২০২০ সালে লেবার পার্টির নেতৃত্ব হাতে নিয়েই কাশ্মীর ইস্যুতে দলের অবস্থান বদলের পথে হাঁটেন স্টার্মার। যার ফলে প্রবাসী ভারতীয়দের পছন্দের নেতা হয়ে উঠছিলেন তিনি। দলের প্রচারে ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা বারবার বলেন লেবার পার্টির নেতা। এইসঙ্গে কাশ্মীর যে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা, তাও জানান স্টার্মার। সাম্প্রতিক ভোটে এই নীতির সুফল পেয়েছেন ব্রিটনের নতুন প্রধানমন্ত্রী, বলছেন বিশ্লেষকরা।