শীঘ্রই চুক্তি না হলে ব্রেক্সিট আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াবে ব্রিটেন, হুঁশিয়ারি জনসনের

09:28 AM Apr 06, 2020 | Monishankar Choudhury
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে কিছুতেই জট কাটছে না ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এই বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত না হলে আলোচনা প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভরদুপুরে দিল্লিতে শুটআউট, গ্রেপ্তার দুই জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র]

প্রায় বছর তিনেক আগে ব্রিটিশ জনতার মত (referendum) নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union) থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। সেই প্রক্রিয়ার নামই হচ্ছে ব্রেক্সিট (Brexit)। অবশেষে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি রাত ১১ টায় ‘ব্রেক্সিট’ কার্যকরী করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) থেকে বেরিয়ে যায় ব্রিটেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাশ হয় ব্রেক্সিট বিল। ৬৮৩ সদস্যের ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এই বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ৬২১টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৪১টি। ২১ জন সদস্য ভোট দেননি। উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালে তদানীন্তন ‘ইউরোপীয় ইকনমিক কমিউনিটি’-তে যোগ দিয়েছিল ব্রিটেন। ১৯৯২ সালে সেটিরই পরিবর্তিত রূপ হয়ে দাঁড়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর ফলে ইউরোপজুড়ে মুক্ত বাণিজ্য, সফরের এক নয়া যুগের সূচনা হয়। এবার তাতেই ইতি টেনেছে ব্রেক্সিট।

এদিকে, জনমতের ভিত্তিতে দীর্ঘ সম্পর্কে ছেদ টানলেও, ইউরোপের অন্য দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য থেকে শুরু করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে চট করে ইতি টানা সম্ভব নয় ব্রিটেনে পক্ষে। কারণ চুক্তি না হলে পণ্য পরিবহণ-সহ একাধিক বিষয়ে দেখা দেবে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। তাই ব্রেক্সিট কার্যকরী করতে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রানজিশন পিরিয়ডে রয়েছে ব্রিটেন। এহেন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দ্রুত চুক্তি সেরে ফেলতে চাইছেন। তাই তিনি হুমকি দিয়ে সাফ জানিয়েছেন আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এই বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত না হলে আলোচনা প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াবে ব্রিটেন। এতে যদি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হয় তবে তাই সই।

Advertising
Advertising

উলেখ্য, আগামী মঙ্গলবার থেকে লন্ডনে ফের EU প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ব্রিটিশ প্রতিনিধি ডেভিড ফ্রস্ট ও মিশেল বার্নিয়ার। অষ্টম দফার এই আলোচনার মূল বিষয় হল, ব্রিটেনে জলসীমায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার অধিকার ও শিল্পে সরকারি ভর্তুকি। বিশ্লেষকদের মতে, রপ্তানি বাড়াতে দেশীয় শিল্পে সরকারি ব্রিটিশ সরকার যাতে ভর্তুকি না দেয় তা নিশ্চিত করতে চাইছে EU। কারণ, সরকারি ভর্তুকি প্রাপ্ত বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির পক্ষে কম দামে পণ্য জোগান দেওয়া সম্ভব। এমনটা হলে মার খাবে EU'র ২৭টি সদস্য দেশ। এদিকে, ব্রিটেনও সাফ জানিয়েছে কানাডা বা অস্ট্রেলিয়ার সিংয়ে তাদের যেমন পৃথক বাণিজ্যিক চুক্তি আছে তেমন বাকি দেশের সঙ্গেও হতে পারে। ইয়উরোপীয় ইউনিয়ন অযথা কঠিন আর্থিক শর্ত আরোপ করে আলোচনা প্রক্রিয়া জটিল করে তুলছে।

[আরও পড়ুন: ভরদুপুরে দিল্লিতে শুটআউট, গ্রেপ্তার দুই জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র]

Advertisement
Next