সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেন জি-র তিন দিনের হিংসাত্মক আন্দোলনে কেপি শর্মা ওলির পতনের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, নেপালের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী? রাজতন্ত্র ফিরবে নাকি পরিবর্তিত গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে বুদ্ধের দেশ? বুধবার রাতেই পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তিওলা নেপালের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকির নাম প্রস্তাব করেছে আন্দোলনকারী তরুণ প্রজন্ম। বৃহস্পতিবার সকালে কারকির পাশাপাশি ভেসে উঠল নেপালের বিদ্যুতের সংকট দূরীকরণে বড় ভূমিকা নেওয়া কুল মান ঘিসিংয়ের নাম।
'শক্তিদাতা' ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কুল মান সম্পর্কে জেন জি বিপ্লবীদের মন্তব্য, "একজন দেশপ্রেমী, সবার পছন্দের।" যদিও কারকির পর হঠাৎই কুল মানের নাম উঠে আসায় অনেকই অবাক। কারণ বুধবার জানা গিয়েছিল, জেন জি বিল্পবীদের সর্বসম্মতিক্রমে কারকিকে অন্তর্বতী সরকারের প্রধান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। তিনি এই প্রস্তাব মেনেও নিয়েছেন। শাসনভার তুলে নিতে সেনার সঙ্গে দেখাও করছেন। যদিও এখন বোঝা যাচ্ছে, পরবর্তী নেতার বিষয়ে একমত হতে পারেনি আন্দোলনকারী এবং সেনা।
উল্লেখ্য, নেপালের বিদ্যুৎ দপ্তরের (নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি বা এনইএ) অধিকর্তা ছিলেন কুল মান ঘিসিং। তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। যা পছন্দ হয়নি নেপালের আমজনতার। কারণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন কুল মান। সবচেয়ে বড় কথা, তাঁর উদ্যোগেই নেপালের দীর্ঘ দিনের বিদ্যুৎবিভ্রাটের সমস্যার সমাধান হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন কুল মান ঘিসিং।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার নেপালের ওলি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে আন্দোলনে নামে জেন জি। এরপর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন কেপি শর্মা ওলি। বহু নেতামন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় মন্ত্রীদের। এখনও অশান্তি থামেনি। ওলির পদত্যাগের পর নেপালের ক্ষমতা এখন সেনার হাতে। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারত সরকার।
