সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহান্তের ছুটিতে আনন্দের আমেজ পুরোপুরি ছিন্ন করে দিল বন্দুকের শব্দ। দক্ষিণ আফ্রিকার এক পানশালায় মুখঢাকা আততায়ীদের গুলি প্রাণ কাড়ল এক শিশু-সহ অন্তত ১১ জনের। আহত আরও ১৪ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার ভোরের দিকে রাজধানী শহর প্রিটোরিয়ার অদূরে এক হোটেল ও পানশালায় তিন দুষ্কৃতী মুখ ঢেকে প্রবেশ করে। উল্লাসে মেতে ওঠা জনতাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে এক শিশু ও কিশোরী-সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। কে বা কারা এভাবে পানশালায় ঢুকে হামলা চালাল, তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই ঘটনা সে দেশের 'দুষ্কৃতীরাজে'র ছবিটা আরও স্পষ্ট করে দিল বলে মনে করছে আমজনতা।
রাত পেরিয়ে ঘড়ির কাঁটা তখন ভোর ছুঁয়ে ফেলেছে। সময় জানান দিচ্ছে, ভোর ৪টে ১৫। কিন্তু তখনও রাতভর আমোদপ্রমোদে ব্যস্ত মানুষজনের উদযাপন শেষ হয়নি। প্রিটোরিয়ার অদূরে সলসভিল হোটেলে তখনও চলছিল নাচগান, দেদার মদ্যপান। তবে সব আনন্দ খানখান করে দিল গুলির শব্দ। পানশালায় মুখ ঢেকে ঢুকে তিন আততায়ী গুলিবৃষ্টি করতে থাকে। একে একে লুটিয়ে পড়েন অন্তত ২৫ জন। ঘটনাস্থলেই ৩ বছরের এক শিশু, ১৬ বছরের কিশোরী-সহ ১১ জনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই।পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, হোটেলের পানশালাটি অবৈধ, তা বিনা অনুমতিতে চালানো হচ্ছিল। এনিয়ে আলাদা করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এই ঘটনা অন্যতম বড় হামলা বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্রিগেডিয়ার অ্যাথলেন্ডা মাথে বলছেন, ''নিরীহ মানুষজনের প্রাণ কেড়েছে আততায়ীরা। তাদের বাড়বাড়ন্ত আমাদের সত্যিই মাথাব্যথার কারণ। বিশেষত বেআইনি মদের দোকান ও পানশালা অনেক চেষ্টা করেও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া যাচ্ছে না। এদিন কারা হামলা চালাল, তার খোঁজ চলছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করব।''
