সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউনেস্কোর পর রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকেও সরে দাঁড়াল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘে আমেরিকার স্থায়ী প্রতিনিধি নিকি হ্যালি ও পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও এই পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন। আমেরিকার অভিযোগ রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ (ইউএনএইচআরসি) ‘পক্ষপাতদুষ্ট’।
মানবাধিকার পরিষদের সদস্য তালিকায় সংস্কার নিয়ে নিউইয়র্ক ও জেনেভায় আমেরিকা ও রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির মধ্যে কয়েক মাসের আলোচনার পর এই পদক্ষেপ নিয়েছে আমেরিকা। দীর্ঘদিন ধরেই পরিষদের সদস্য তালিকায় পরিবর্তনের দাবি করছিল আমেরিকা। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, ওই তালিকায় এমন দেশও রয়েছে যারা নিজেরাই মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত। তবে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও মার্কিন প্রচেষ্টা বিফল করে দেয় রাশিয়া ও চিন। ফলে শেষমেশ পরিষদ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাম্প প্রশাসন। উল্লেখ্য, আগেও মানবাধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছে আমেরিকা। গত বছরই পরিষদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল ওয়াশিংটন। প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে এবার পরিষদে আলোচনা হওয়ার কথা। আর এতেই আপত্তি আমেরিকার।
ক্ষমতায় আসার পরই ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তারপরই একাধিক অভিযোগে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ও ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় ওয়াশিংটন। একের পর এক আন্তর্জাতিক সংগঠন থেকে সরে দাঁড়ানো ট্রাম্পের হঠকারিতা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ২০০৬ সালে জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদ গঠন করা হয়। ২০০৯ সালে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ পরিষদে যোগ দেন। মানবাধিকার পরিষদের হাই কমিশনার জাইদ রাদ আল-হুসেইন ওয়াশিংটনকে এই সিদ্ধান্ত রদের আহ্বান জানিয়েছেন। আমেরিকার এহেন সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রসংঘের জন্য জোর ধাক্কা। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ‘লিগ অফ নেশনস’-এর মতোই প্রাসঙ্গিকতা হারাতে চলেছে ‘ইউনাইটেড নেশনস’। প্রথম বিশ্বের দেশগুলির কাছে একপ্রকার নখ-দন্তহীন বাঘের মতো আত্মসমর্পণের অভিযোগ রাষ্ট্রসংঘের বিরুদ্ধে নতুন কিছু নয়। ফলে ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তে আরও দুর্বল হয়ে পড়ল আন্তর্জাতিক সংগঠনটি।
[OMG! রাশিয়ায় বিশ্বকাপের জন্য কাজ হারিয়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক]
The post পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে মানবাধিকার পরিষদ থেকে সরে দাঁড়াল আমেরিকা appeared first on Sangbad Pratidin.