সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদেনের মৃত্যুর পরে আল কায়দার হাল ধরেছিল আয়মান আল-জওয়াহিরি (Ayman al-Zawahiri)। সোমবার মার্কিন ড্রোন (US drone) হানায় নিকেশ হয়েছে এই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি। আর তার মৃত্যুর পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে আফগানিস্তানে প্রবেশ না করেও জওয়াহিরিকে চিহ্নিত করে তার উপরে হামলা চালাল মার্কিন ড্রোন। জানা গিয়েছে, হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্রে হামলা চালানো হয়েছে জওয়াহিরির উপরে। এই বিশেষ গোপন ক্ষেপণাস্ত্রের দ্বারা আঘাত হানার ফলেই এমন অব্যর্থ লক্ষ্যভেদ সম্ভব হয়েছে বলে জানাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।
কীভাবে ঘটানো হল এই অপারেশন? জানা যাচ্ছে, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছিল জওয়াহিরিকে। কাবুলে তার ‘নিরাপদ’ অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই চূড়ান্ত অপারেশনের কথা ভাবা হয়েছে। হামলার সময় তার ডেরার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়েছিল বর্ষীয়ান জঙ্গি নেতা। স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ১৮ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটি এসে আছড়ে পড়ে ওই বারান্দায়। এটি একটি ওয়ারহেড লেস ক্ষেপণাস্ত্র।
[আরও পড়ুন: ঘোষিত এশিয়া কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি, জেনে নিন কোন দিন মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান?]
সোমবার এসম্পর্কে বলতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) জানাচ্ছেন, ”এই মিশনটি নিপুণভাবে পরিকল্পিত। এবং কোনও সাধারণ নাগরিকের প্রাণহানি না ঘটিয়েই অপারশেনটি সফল করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এক সপ্তাহে যখন আমাদের জানানো হয়, এবার হামলা চালানো যেতে পারে, আমি সবুজ সংকেত দিই। ওর পরিবারের কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। কোনও নাগরিকের মৃত্যু হয়নি।”
জানা যাচ্ছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব হল, এতে বিস্ফোরণ হয় না। এতে থাকে ছ’টি রেজারের মতো ব্লেড। ওই ধারালো ব্লেডেই লক্ষ্যবস্তুকে নিকেশ করা হয়। সাধারণত নাগরিকদের প্রাণহানি বা সম্পত্তি নষ্ট না করেই কোনও সন্ত্রাসবাদী নেতাকে খতম করতে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এবার সেই অস্ত্রই বেছে নেওয়া হয় জওয়াহিরিকে খতম করতে।
উল্লেখ্য, গত দু’দশক ধরেই গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এজেন্সিগুলি জওয়াহিরির সন্ধান করেছে। তার মৃত্যু নিঃসন্দেহে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনা। ভারতের ক্ষেত্রেও এই মৃত্যু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।