সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার (Nobel peace prize) পেয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। সেই তাঁর বিরুদ্ধেই কিশোরদের যৌন হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠায় ভ্যাটিকান সিটির (Vatican) তরফে অভিযুক্ত বিশপ কার্লোস বেলোর উপরে জারি করা হল শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা। কেড়ে নেওয়া হয়েছে অধিকাংশ ক্ষমতাই।
ঠিক কী অভিযোগ পূর্ব টিমোর-এর ওই বিশপের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট এই দেশটির মানুষদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়েই অবদান রাখায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন কার্লোস। কিন্তু এর বছর ছয়েক পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে তিনি বিকৃতকাম। বহু কিশোরকে যৌন হেনস্তা করেছেন। মুখ খুলতে বারণ করে অর্থের প্রলোভনও দেখিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকে জামিয়া মিলিয়ার পড়ুয়াকে গুলি! আতঙ্ক দিল্লিতে]
বুধবারই নেদারল্যান্ডসের একটি পত্রিকা কার্লোসের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগের কথা ফাঁস করে। দুই নির্যাতিত কিশোরের বক্তব্যও প্রকাশ করে জানানো হয়, এই দলে রয়েছে আরও বহু কিশোর যারা প্রকাশ্যে আসতে চায় না। পরের দিন, বৃহস্পতিবারই ভ্যাটিকানের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল অভিযুক্ত বিশপের বিরুদ্ধে তারা পদক্ষেপ করেছে দু’বছর আগে।
ভ্যাটিকানের মুখপাত্র ম্যাট্টেও ব্রুনি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে প্রথমবার বিশপের আচরণ সম্পর্কে জানতে পারেন তাঁরা। এরপর এক বছরের মধ্যেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হয়েছে। কার্লোসের বেশির ভাগ ক্ষমতাই কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পূর্ব টিমোর-এর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখতে পারবেন না তিনি। নাবালকদের সঙ্গেও কোনও রকম যোগাযোগে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
[আরও পড়ুন: পুজোর মরশুমেও চলবে দুর্নীতি মামলার তদন্ত, ‘বাতিল’ CBI আধিকারিকদের ছুটি]
ব্রুনি জানিয়েছেন, ২০২০ সালের পর ২০২১ সালের নভেম্বরে নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার কথা ঘোষণা করা হয়। দু’বারই ভ্যাটিকানের সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে মেনে নিয়েছেন কার্লোস। জানা গিয়েছে, ২০০২ সালের পর আর টিমোর যাননি তিনি। এও জানা গিয়েছে, পর্তুগালে নিযুক্ত হলেও সেখানে কোনও কাজই করেননি কার্লোস।