সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্ত বরবার উঁচু পাঁচিল তোলার জন্য মেক্সিকো সরকার এক পয়সাও দেবে না ট্রাম্পকে। বৃহস্পতিবার নিজের টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে সাফ জানিয়ে দিলেন মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি এনরিকে পেনা নিয়েটো।
Un mensaje para todos los mexicanos: pic.twitter.com/EFcNh7fQtm
— Enrique Peña Nieto (@EPN) 26 January 2017
বুধবারই মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত বরবার পাঁচিল তৈরির এক্সেকিউটিভ অর্ডারে স্বাক্ষর করেছেন আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারেই পড়শি দেশ থেকে অনুপ্রবেশ রুখতে এই সিদ্ধান্তগ্রহণের কথা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। আর পাঁচিল তৈরির বিপুল খরচ মেক্সিকো সরকারের থেকেই আদায় করার কথা বলেছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী। সেই কথামতো রাষ্ট্রপতির কুরসিতে বসেই বুধবার মার্কিন মুলুকে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং মেক্সিকো সীমান্তে পাঁচিল তৈরির এক্সেকিউটিভ অর্ডারে স্বাক্ষরও করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন পেনা। নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেন পেনা। তাতে তিনি বলেছেন, ‘কোনও পাঁচিলে বিশ্বাস করেন মেক্সিকো। আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি এর জন্য মেক্সিকো কোনও খরচ দেবে না।’
অন্যদিকে, এদিনই ফের একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে ট্রাম্প বলেছেন, ‘পাঁচিল তৈরির পুরো খরচ মেক্সিকোর থেকেই আদায় করবে আমেরিকা।’ যদিও পেনা আগামী ৩১ জানুয়ারি তাঁর আমেরিকা সফর নিয়ে কিছু বলেননি। কিন্তু মেক্সিকো সরকারের অন্যান্য সচিব তথা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ট্রাম্পের মন্তব্যের পর পেনাকে তাঁর সফর বাতিল করার আবেদন করেছেন। প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল অ্যাকশন পার্টির নেত্রী মার্গারেটা জাভালা যিনি নিজেও ২০১৮-র রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদপ্রার্থী বলেছেন, সফরের আগেই ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত মেক্সিকোর বিরুদ্ধে অপরাধ। অন্যান্য বিরোধী দলগুলির নেতা-নেত্রীরাও টুইট করে এই সিদ্ধান্তকে শত্রুতাপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
পেনা আরও একটি টুইটে বলেছেন, ‘মেক্সিকো একটি সার্বভৌম দেশ। আর সেক্ষেত্রে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কাছ থেকে যথাযথ সম্মান তার প্রাপ্য।’ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে অধিকাংশ মার্কিনি সম্মত হবেন না হবে মনে করেন পেনা।’ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নেবে মেক্সিকো? পেনা জানিয়েছেন, গতকালই মেক্সিকোর সরকারি প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছেছেন। তাঁদের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন পেনা।
(আমেরিকায় মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করছেন ট্রাম্প)