সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO জানিয়ে দিল, জরুরি প্রয়োজনে এবার থেকে ব্যবহার করা যাবে কোভ্যাক্সিন। যার অর্থ, এবার থেকে আর কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিদেশ সফরে গেলেও আর সমস্যায় পড়তে হবে না। ফলে বিশ্বের মঞ্চে ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকদের পরিশ্রম স্বীকৃতি পেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই মুহূর্তে দুটি করোনার টিকা ভারতে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউটের (Serum Institute) তৈরি কোভিশিল্ড ভারতে তৈরি হলেও তা সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়নি। সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের মাটিতে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে। কিন্তু ভারত বায়োটেক এবং আইসিএমআরের তৈরি কোভ্যাক্সিন সম্পূর্ণভাবেই ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। স্বাভাবিকভাবেই কোভ্যাক্সিন ছাড়পত্র পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত দেশের চিকিৎসক মহল।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের দলে যোগ দিন’, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে কী বললেন মোদি?]
এর আগে হু’র তরফে মাত্র ছ’টি করোনা টিকাকেই (Corona Vaccine) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল কোভিশিল্ড, মডার্না, ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন, সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাক। কিন্তু নানা জটিলতায় আটকে ছিল কোভ্যাক্সিনের ছাড়পত্র। কোভ্যাক্সিনের অনুমোদনের জন্য বহুদিন আগেই হু’র কাছে আবেদন করেছিল ভারত বায়োটেক। সপ্তাহ খানেক আগেই WHO ছাড়পত্র পাবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সেসময় ভারত বায়োটেকের (Bharat Bio-Tech) দেওয়া তথ্যে সন্তুষ্ট ছিল না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেসময় ভারত বায়োটেকের কাছে আরও তথ্য চাওয়া হয় WHO’র তরফে। সেই তথ্য হাতে পেয়েই ভারত বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়ে দিল WHO।
[আরও পড়ুন: বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা, তালিবানি ফতোয়ায় বিপাকে আফগান জনতা]
প্রসঙ্গত, এর আগেই বিশ্বের ১৩টি দেশ কোভ্য্যক্সিনকে ছাড়পত্র দিয়েছিল। ভারত সরকারও WHO-এর ছাড়পত্রে অপেক্ষা না করে নাগরিকদের কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া শুরু করেছে অনেক আগেই। কিন্তু WHO-এর ছাড়পত্র না থাকায় ১৩টি দেশের বাইরে অন্য কোনও দেশে গেলে সমস্যায় পড়তে হত কোভ্যাক্সিনের টিকা নেওয়া ভারতীয়দের। যা নিয়ে দেশের অন্দরে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও সৃষ্টি হয়েছিল। সেসব সমস্যা এবং বিতর্কে এবার ইতি পড়ে গেল।