সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি একজন নামী পরিবেশ কর্মী। কিন্তু মাঝেমধ্যেই শিরোনামে আসেন ‘টপলেস’ (Topless) হওয়ার কারণেও। সেই যুবতী, ইংল্যান্ডের পরিবেশকর্মী লারা আমহার্স্ট এবার জানালেন তাঁর এক গোপন ইচ্ছার কথা। তিনি ব্রিটেনের (UK) প্রথম ‘টপলেস’ প্রধানমন্ত্রী হতে চান। স্বাভাবিক ভাবেই তরুণীর এমন ইচ্ছের কথায় শোরগোল নেট দুনিয়ায়।
‘টপলেস’ হওয়াটা লারার জন্য নতুন নয়। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার তাঁকে বক্ষ উন্মুক্ত করতে দেখা গিয়েছে। মূলত জলবায়ুর পরিবর্তনের বিষয়ে সকলকে সচেতন করতেই এই পদক্ষেপ তাঁর। ‘ডেলি স্টার’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পাঠরত লারা। তাঁর দাবি, তিনি যদি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পান তবে তিনি বরিস জনসনের থেকেও ভালভাবে রাজ্যপাট সামলাতে পারবেন। তাঁর কথায়, ”আমি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের থেকেও ভালভাবে সরকার চালাতে পারব। আমি রাজনীতিটা বরিস জনসনের থেকে বেশি জানি।”
[আরও পড়ুন: তালিবানে ‘শুদ্ধিকরণ’! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছাড়া প্রকাশ্যে হত্যা নয়, দাবি জেহাদিদের]
তবে আপাতত পড়াশোনাতেই মন দিতে চান লারা। তবে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ হলে আগামী বছরেই রাজনীতির আঙিনায় পা রাখতে চান ওই তরুণী। তিনি জানাচ্ছেন, ”এবছরটাই আমার স্নাতক স্তরের শেষ বছর। এরপর আমি রাজনীতিতেই ফোকাস করব। আমি প্রধানমন্ত্রী হতে চাই। আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও টপলেস থাকব। তাতে অন্যদের থেকে আমাকে কিছুটা আলাদাই লাগবে।” সাসেক্সে প্রথমবার টপলেস হয়েছিলেন। তারপর থেকে মাঝেমধ্যেই তাঁকে টপলেস হতে দেখা গিয়েছে। লারা জানাচ্ছেন, তাঁর এহেন সিদ্ধান্তে তাঁর মা অবশ্য প্রথমে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন। যদিও পরে তিনি মেয়ের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন।
আপাতত রাজনীতিতেই মনোনিবেশ করতে চাইছেন লারা। দেশের মসনদে বসার স্বপ্নকে সত্যি করতে এগিয়ে যেতে চান। কেবল ক্ষমতা দখল করাই তাঁর লক্ষ্য নয়। তরুণীর দাবি, ”আমি রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসব।”