সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুঃসময় আর কাটছে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka)। দেশ ছেড়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফের খারাপ খবর। কঠিন পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে বিশ্ব ব্যাংকের দিকেই নজর ছিল সকলের। কিন্তু এবার কার্যত হাত তুলে নিল বিশ্ব ব্যাংকও (World Bank)। তাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, এই পরিস্থিতিতে এখনই নতুন করে শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করা সম্ভব হচ্ছে না তাদের পক্ষে। নিঃসন্দেহে এর ফলে নতুন করে আতান্তরে পড়তে হল শ্রীলঙ্কাকে। প্রশ্ন উঠছে, এবার তাহলে কী করে বিপন্মুক্তির দিকে হাঁটবে শ্রীলঙ্কা?
ঠিক কী জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক? তাদের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে শোধরাতে হলে পরিকাঠামোগত সংস্কার ছাড়া উপায় নেই। আর সেই সংস্কার যতদিন না হচ্ছে, ততদিন নতুন করে আর্থিক সাহায্য করার উপায় নেই বিশ্ব ব্যাংকের।
[আরও পড়ুন: ‘যা পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, আমি চুনোপুঁটি’, পার্থ-অর্পিতার ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে মুখ খুললেন মদন]
তবে সেই সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, ওষুধ, রান্নার গ্যাস থেকে স্কুলের পড়ুয়াদের খাবার, দরিদ্র পরিবারের জন্য নগদ সাহায্য়ের মতে পদক্ষেপগুলি করতে বর্তমান ঋণের অধীনেই চেষ্টা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এর মধ্যে অন্তত ১৬০ মিলিয়ন ডলার আপৎকালীন প্রয়োজনীয়তা মেটাতে বিতরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই ধরনের আর্থিক সাহায্য বজায় থাকবে। তবে তা সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার সামগ্রিক পরিস্থিতির বদল ঘটার যে সম্ভাবনা এখনই নেই, তাও পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে শ্রীলঙ্কা। ধুঁকছে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি। একদিকে চিনের কাছ থেকে নেওয়া চড়া সুদের বিপুল ঋণ, অন্যদিকে শিল্প সংকটের মধ্যে পড়ে হাঁসফাঁস অবস্থা দ্বীপরাষ্ট্রের। গত তিন মাসে আর্থিক সংকট তীব্রতর হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। জানা গিয়েছে, সংসার চালাতে দেহ ব্যবসায় নামছেন মহিলারা। রাজধানী কলম্বোয় ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে নিষিদ্ধপল্লি। শ্রীলঙ্কার চরম আর্থিক সংকটে পরিবারকে বাঁচাতে নিষিদ্ধ এই পেশাকেই আঁকড়ে ধরছেন মহিলারা। শুধু টাকা নয়, প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ওষুধ কিনতে শরীর বিক্রি করছেন তাঁরা। তাই এই ভয়াবহ সমস্যা সমাধানের উপায় বের করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বিক্রমসিংহে-গুণবর্ধনেদের কাছে।