সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোহরান মামদানি একজন সমাজতান্ত্রিক কমিউনিস্ট। তিনি ভারতীয়দের ঘৃণা করেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করতে চান। শুধু তাই নয়, তিনি ইহুদিদেরও ঘৃণা করেন। এমনটাই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুত্র এরিক ট্রাম্প।
তিনি বলেন, “বামপন্থী নেতা হিসাবে মামদানির উত্থান নিউ ইয়র্কের পতনের ইঙ্গিত দেয়।অতি-বামপন্থী নীতিগুলি আমেরিকার প্রধান শহরগুলিকে ধ্বংস করছে। মেয়র হিসাবে তাঁর উচিত পরিষ্কার এবং নিরাপদ রাস্তাঘাট, যুক্তিসঙ্গত কর ইত্যাদি মৌলিক বিষয়গুলির উপর মনোনিবেশ করা। কিন্তু তিনি সরকারি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন এবং বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন।” এরপরই তিনি বলেন, “মামদানি একজন সমাজতান্ত্রিক কমিউনিস্ট। তিনি ভারতীয়দের ঘৃণা করেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করতে চান। ইহুদিদেরও তিনি ঘৃণা করেন।”
নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েছেন স্বনামধন্য পরিচালক মীরা নায়ারের পুত্র তথা ডেমোক্র্যাট নেতা মামদানি। আগামী ১ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কের মেয়র হিসাবে শপথ নেবেন তিনি। মামদানিই হবেন নিউ ইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র। পাশাপাশি, নিউ ইয়র্কের গত ১০০ বছরের ইতিহাসে ৩৪ বছর বয়সি মামদানিই হবেন কনিষ্ঠতম মেয়র।
প্রসঙ্গত, মামদানির জন্ম উগান্ডার কাম্পালায়। তাঁর বাবা বিখ্যাত লেখক মাহমুদ মামদানি। তিনি মুম্বইতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অন্যদিকে, জোহরানের মা হলেন স্বনামধন্য চিত্র পরিচালক মীরা নায়ার। জন্মের কিছু বছর পর মামদানি নিউ ইয়র্কে চলে যান। বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্কের কুইন্সের বাসিন্দা। এই কুইন্স শহরে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশির বাস। সেখানে থাকতে থাকতেই বাংলা ভাষা রপ্ত করেছেন মামদানি। সমাজমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে বাংলা ভাষাতেও কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। সস্তায় খাদ্য,বস্ত্র এবং বাসস্থান – নিউ ইয়র্কের বাসিন্দাদের জন্য এই তিন প্রতিশ্রুতিই দিয়েছিলেন মামদানি।
