সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে অনেকেই ইতিউতি বেড়াতে যাচ্ছেন। কারও পছন্দ জঙ্গল, কারও পাহাড়। আবার কেউ বা সমুদ্রপাড়ে ছুটে যাচ্ছেন ছুটি কাটাতে। আপনিও কি পরিবারের সঙ্গে এমন কোনও ট্রিপের পরিকল্পনা করছেন? যেখানেই যান আর যতই বিলাসবহুল সফরই করুন না কেন, আপনাকে টেক্কা দেবেনই ডেনিস টিটো! ৮২ বছরের এক অশীতিপর বৃদ্ধ তিনি। বিশ্বের প্রথম স্পেস টুরিস্ট। এবার সস্ত্রীক চাঁদে পাড়ি দিচ্ছেন টিটো। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন, বয়সকে তুড়ি মেরে এমনই মোক্ষম পরিকল্পনা করে ফেলেছেন এই বৃদ্ধ।
২১ বছর আগে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ছোট্ট একটা ট্রিপ সেরেছিলেন টিটো। কিন্তু তখন তিনি ষাটের ঘরে। দুই দশক পেরিয়ে এসে এখন পা রেখেছেন আশির ঘরে। কিন্তু এই বয়সে পৌঁছেও চাঁদে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেছেন বৃদ্ধ। তবে একা নন, সঙ্গে নিয়ে যাবেন স্ত্রী আকিকোকেও। মোট ১০ জন ওই সফরে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: আতঙ্কের নাম পিটবুল! গাজিয়াবাদে এই প্রজাতির কুকুর পোষায় জারি হল নিষেধাজ্ঞা]
২০২১ সালের আগস্টে এলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের সঙ্গে চুক্তি হয় টিটোর। যদিও সদ্যই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যে কোনও সময়ে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবেন টিটো। কিন্তু সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পরে যদি সফর হয়, তখন তাঁর বয়স হবে ৮৭! এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষে সবথেকে বেশি বয়সে পৌঁছেছেন জন গ্লেন। তাও ৭৭ বছর বয়সে। টিটো জানাচ্ছেন, ”উনি তো ৭৭ বছর বয়সে গিয়েছিলেন। সেই হিসেবে বলা যায় উনি নেহাতই ছোকরা। আমি হয়তো ওঁর থেকে আরও ১০ বছর বেশি বয়সে চাঁদে যাব।”
তবে এখনই আকাশকুসুম খোয়াব দেখতে রাজি নন টিটো। তিনি জানেন, চাঁদে যেতে হলে এখনও অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হব স্পেসএক্সকে। তাঁর বয়সও বাড়ছে। এই বয়সে পৌঁছে আয়ু সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হওয়াও কঠিন। তাই যখন তখন স্বপ্নভঙ্গ হতে পারে, সেই বাস্তবটিও মাথায় রাখছেন তিনি।