সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের শক্তিপ্রদর্শন করলেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন (Kim Jong Un)। বৃহস্পতিবার কমিউনিস্ট দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজে দৈত্যকার ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শন করে উত্তর কোরিয়া। বিশ্লেষকদের মতে, দৈত্যাকার হাতিয়ারটি হচ্ছে ‘সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল’ (SCBM) বা ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করার মতো ক্ষেপণাস্ত্র। এটি আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম বলেও দাবি। মূলত আমেরিকাকে ভয় দেখিয়ে কূটনৈতিক মঞ্চে সুবিধা আদায় করতেই শক্তিপরদর্শন করছেন কিম বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া! অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু, আহত শতাধিক]
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর দাপটের মধ্যেই কিম ইল সুং স্কোয়ারে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন হাজার হাজার সৈনিক। মঞ্চে দাঁড়িয়ে কুচকাওয়াজ দেখেন দেশের একনায়ক কিম জং উন। সেখানেই বিশাল সামরিক ট্রাকে করে মিসাইলগুলি প্রদর্শন করা হয়। অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই অত্যাধুনিক মিসাইলগুলির নাম ‘Pukguksong-5’। সাবমেরিনে বয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো অত বড় ক্ষেপণাস্ত্র সত্যিই অবাক করার মতো। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালে আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। সেই ক্ষেপণাস্ত্র আমেরিকার যে কোনও স্থানে আঘাত হানতে পারে। এদিন কিম জং উন সমবেত জনতাকে বলেন, আমরা আত্মরক্ষার জন্য নিজেদের সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলব। গতবছর কিম বলেছিলেন, তাঁরা একটি নতুন অস্ত্র বানিয়েছেন। সেই অস্ত্র তাঁরা সকলকে দেখাবেন। এদিন যে দানবাকৃতি মিসাইল প্রদর্শন করা হয়েছে, কিম তার কথাই বলেছিলেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
এদিকে, আণবিক ক্ষেপণাস্ত্রকে কূটনীতির অমোঘ হাতিয়ার হিসেবে বহুদিন ধরেই ব্যবহার করে আসছেন কিম। উত্তর কোরিয়া (North Korea) যাতে আর পরমাণু অস্ত্র না বানায়, সেজন্য তাদের অনুরোধ করেছিল আমেরিকা। গতবছর হ্যানয়ে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই বৈঠক ব্যর্থ হয়। আমেরিকা তার পরেও কূটনৈতিক পথে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। এবার নয়া মিসাইল প্রদর্শন করে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার মঞ্চে নিজের অবস্থান মজবুত করার চেষ্টা করছেন কৌশলি কিম বলেই ধারণা।