shono
Advertisement

Breaking News

রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের খাবারে মিলল কেঁচো! তদন্তের নির্দেশ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের

ঘটনায় অস্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
Posted: 07:37 PM Jun 05, 2022Updated: 07:37 PM Jun 05, 2022

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: খাবারে মিলল কেঁচো। আর তাকে কেন্দ্র করে হইচই কাণ্ড জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে। ঘটনার জেরে হাসপাতালে সরবরাহ করা খাবার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন অনেক রোগীর আত্মীয়। বাইরে থেকে খাবার এনে খেয়েছেন অনেকেই। ঘটনায় অস্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্তর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অসীম হালদার জানিয়েছেন।

Advertisement

শনিবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগে রোগীর খাবারের মধ্যে কেঁচো পাওয়া যায়।হাসপাতাল থেকেই খাবার সরবরাহ করা হয়েছিল। এক অভিভাবকের খাবারের মধ্যে থাকা কেঁচোটিকে নজরে পড়ে। তার আগে অনেকেই তাদের চিকিৎসাধীন শিশুদের সেই খাবারে খাইয়েও দিয়েছেন। খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন অনেকেই। হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরে গিয়ে অভিযোগও জানান তাঁরা।পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

[আরও পড়ুন: একা গান্ধীজি নন, এবার ভারতীয় নোটে রবীন্দ্রনাথ ও কালামের ছবিও!]

এই ঘটনার জেরে রবিবার হাসপাতালের সরবরাহ করা খাবার নেননি অনেকেই। বাড়ি থেকে অথবা বাইরে থেকে খাবার আনিয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, এক ঠিকাদার সংস্থা হাসপাতালে খাবার সরবরাহ করে। তাদের নজরদারির অভাবে এই ঘটনা বলে অভিযোগ। রাজগঞ্জের কুকুর জান এলাকার বাসিন্দা দীপক রায় জানান, অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে তিনদিন ধরে শিশু বিভাগে রয়েছেন স্ত্রী জ্যোৎস্না রায়। হাসপাতালের খাবারই খাচ্ছিলেন। শনিবার রাতে স্ত্রী দেখতে পান খাবারের মধ্যে কেঁচো পড়ে রয়েছে। ঘটনা জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায় হাসপাতালে।পঙ্কজ বর্মন নামে এক রোগীর আত্মীয়র অভিযোগ, তিন বেলা খাবার দেওয়া হয় ঠিকই। তবে খাবার অত্যন্ত নিম্নমানের। কেঁচো পাওয়ার পর অনেকেই হাসপাতালের খাবার খেতে চাইছেন না। তিনি নিজে চিকিৎসাধীন আত্মীয়ের জন্য বাইরে থেকে খাবার কিনে পাঠিয়েছেন।

এদিকে, হাসপাতালে খাবার সরবরাহকারী ওই সংস্থার দায়িত্বে থাকা শুভময় সাহার দাবি, খাবারের মান যাচাই করার পরেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তা সরবরাহ করা হয়। কর্মীরা ভালভাবে যাচাই করার পরেই খাবার নিয়ে যান। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তাতে তারাও অবাক। জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অসীম হালদার জানান, লিখিত কোনও অভিযোগ হাতে পাননি। তবে ঘটনা জানার পরেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: তৃণমূলের অন্দরে রয়েছে ‘বিজেপির চর’, বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর, পালটা দিলেন কুণাল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement