ধিকি ধিকি করে জ্বলছিল আগুন। মাঝে তা প্রশমিত হয়েছিল বটে। কিন্তু ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের (Brij Bhushan Sharan Singh) বিজনেস পার্টনার সঞ্জয় সিং সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের (Wrestling Federation of India) প্রধান হতেই প্রতিবাদের আগুন আবার জ্বলে ওঠে। সঞ্জয় সিং সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান হওয়ার পর বড় সড় ঘোষণা করেছিলেন বজরং পুনিয়া। জানিয়েছিলেন, পদ্মশ্রী পুরস্কার তিনি ফিরিয়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে না চাওয়ার জের, বড় শাস্তির মুখে সুমিত নাগাল]
পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু মোদির বাসভবনের কাছাকাছি পৌঁছনোর পরে তাঁকে বাধা দেয় দিল্লি পুলিশ। প্রতিবাদ স্বরূপ মোদির বাসভবনের কাছের ফুটপাথে পদ্মশ্রী পুরস্কার রেখে চলে আসেন বজরং পুনিয়া।
এবার বজরংদের রাস্তাতেই হাঁটলেন ভিনেশ। প্রধানমন্ত্রীকে আবেগঘন এক খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন ফোগাট। সেখানে তিনি লিখেছেন, শুধুমাত্র সরকারি বিজ্ঞাপনে মুখ দেখানোর জন্যই কি মহিলা কুস্তিগিরদের ব্যবহার করা হবে? খোলাখুলি জানিয়েছেন, সম্মান-মর্যাদা নিয়েই বাঁচতে চান তিনি। সেই কারণেই সরকারের দেওয়া খেলরত্ন-অর্জুন সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজধানীর রাজপথে বীনেশ-বজরংদের নিগ্রহ করেছিল দিল্লি পুলিশ। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। গোটা দেশ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা ছিলেন প্রতিবাদের মুখ। কিন্তু যে কারণে তাঁরা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন, তার সুরাহা হয়নি দেখার পরে আর স্থির থাকতে পারেননি। সরকারের কাছ থেকে পাওয়া একের পর এক সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারকা কুস্তিগিররা। বজরং-বীরেন্দ্রর পরে খেলরত্ন ও অর্জুন পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ভিনেশও।