আলাপন সাহা
প্রশ্ন : পাঁচ মাস পর আবার নিজের শহরে ফিরলেন।
ঋদ্ধি : হ্যাঁ, গত আগস্টে আইপিএল (IPL) খেলতে গিয়েছিলাম। তারপর দুবাই থেকে সোজা অস্ট্রেলিয়া (Australia)। এতদিন পর ফ্যামিলির সঙ্গে দেখা হল, দারুণ অনুভূতি।
প্রশ্ন : মঙ্গলবারই আবার চেন্নাইয়ে বায়ো—বাবলে ঢুকে পড়তে হবে শুনছি?
ঋদ্ধি : হ্যাঁ, মঙ্গলবার চেন্নাই যাচ্ছি।
প্রশ্ন : পুরো অস্ট্রেলিয়া সফরটাই তো চ্যালেঞ্জিং ছিল?
ঋদ্ধি : অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে আপনাকে সবসময় চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তেই হবে। সেরকম মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই আমরা অস্ট্রেলিয়া যাই।
প্রশ্ন : কিন্তু এবারের চ্যালেঞ্জটা সম্পূর্ণ অন্যরকম ছিল। অ্যাডিলেড টেস্টে ৩৬ অলআউট। বিরাট কোহলি নেই। তার উপর চোট-আঘাতে প্রথম টিমের আধডজন ক্রিকেটার ছিলেন না।
ঋদ্ধি : ৩৬ অলআউট স্রেফ একটা দুর্ঘটনা ছিল। অ্যাডিলেড টেস্টের ওরকম একটা বিপর্যয়ের পর আমাদের ড্রেসিংরুম ভেঙে পড়েনি। বিশ্বাস ছিল, আমরা কামব্যাক করতে পারি। সেই কোয়ালিটি আমাদের টিমের রয়েছে। সেটা দেখিয়েও দিয়েছি।
প্রশ্ন : ব্রিসবেন জেতার পর কী সেলিব্রেশন হল?
ঋদ্ধি : আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে ডিনার করেছিলাম। রবি ভাই বলেছিল, এই মুহূর্তটা বারবার আসবে না, তাই আমরা সবাই যেন সেটা উপভোগ করি।
প্রশ্ন : গাব্বায় ৩২ বছর পর কোনও টিম অস্ট্রেলিয়াকে হারাল। শেষদিনে আবার ৩২৪ রান তাড়া করে। কখন মনে হল ম্যাচটা আপানার জিততে পারেন?
ঋদ্ধি : ড্র করার মানসিকতা আমাদের ছিল না। আমাদের প্ল্যান ছিল উইকেট না দেওয়া। জানতাম উইকেট হাতে থাকলে ওই রান তাড়া করা সম্ভব। সেরকম ব্যাটসম্যান আমাদের টিমে রয়েছে।
প্রশ্ন : ব্রিসবেনের ইনিংসটা পর ঋষভকে (Rishabh Pant) কী বললেন?
ঋদ্ধি : বললাম দারুণ খেলেছিস।
প্রশ্ন : বলা হচ্ছে, ঋষভের সঙ্গে আপনার প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে গেল?
ঋদ্ধি : তাই নাকি? আমরা তো কেউই এরকম ভাবি না। বরং যে কেউই খেলুক না কেন, কীভাবে আরও ভাল পারফর্ম করা সম্ভব, সেটা নিয়ে আলোচনা করি আমরা।
প্রশ্ন : একইসঙ্গে এটাও বলা হচ্ছে, আপনি নাকি শেষ টেস্ট খেলে ফেললেন?
ঋদ্ধি : তাই? কিন্তু আমি তো এখনও টিমে আছি। (বলেই হাসি)।
প্রশ্ন : বলা হচ্ছে, ঋষভ ওরকম একটা ইনিংস খেলার ফলে আপনার সুযোগ অনেকটাই কমে গেল?
ঋদ্ধি : দেখুন কে কী বলল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। এটা তাঁদের ব্যক্তিগত মত। তাঁরা বলতেই পারেন। আমি ওসব নিয়ে ভাবি না। আমি লোকের কথা ভেবে ক্রিকেট খেলি না।