আলাপন সাহা: এতদিন চুপ ছিলেন জাতীয় দলের অংশ ছিলেন বলে। জাতীয় দলের বৃত্ত থেকে বাদ পড়তেই একপ্রকার বিস্ফোরণ ঘটালেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। ঘুরিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে নিশানা করে টিম ইন্ডিয়ার উইকেটরক্ষক বলে দিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পরই তাঁকে ‘অন্য কিছু’ ভাবতে বলা হয়েছিল। অর্থাৎ টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছিল তিনি অবসর ঘোষণা করে দিন।
শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করে দিয়েছে বিসিসিআই (BCCI)। ১৮ সদস্যর ভারতীয় দলে জায়গা হয়নি ঋদ্ধির। উইকেটরক্ষক হিসাবে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন ঋষভ পন্থ এবং কোনা ভরত। কিন্তু কেন বাদ দেওয়া হল ঋদ্ধিকে? নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা বলছেন,“ঋদ্ধিমানকে বাদ দেওয়ার পিছনে আলাদা করে কোনও কারণ নেই। আমরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওদের চারজনকে (ঋদ্ধি, ইশান্ত, রাহানে, পূজারা) সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। আমি নিজে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলে ওদের বার্তা পৌঁছে দিয়েছি।”
[আরও পড়ুন: বিরাটের পর ভারতের টেস্ট অধিনায়ক রোহিত শর্মাই, ঘোষণা বিসিসিআইয়ের]
চেতন শর্মা (Chetan Sharma) যে আগে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সেটা মেনে নিয়েছেন ঋদ্ধিও। কিন্তু তিনি এটা ভেবে পাচ্ছেন না যে কেন তাঁকে বাদ দেওয়া হল। প্রাক্তন বঙ্গ অধিনায়ক বলছেন,” আমাকে চেতন শর্মা আগেই জানিয়েছিল, তোমাকে আর ভাবা হচ্ছে না। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, শুধু শ্রীলঙ্কা সিরিজে নাকি এখন থেকেই আর ভাবা হচ্ছে না? তখন জানিয়ে দেওয়া হয়, আমাকে এখন থেকে আর ভাবা হবে না। আমাকে ‘অন্য কিছু’ ভাবতে বলেছিল। অবসরের কথা বলতে চেয়েছিল কিনা বলতে পারব না। ওদের বক্তব্য নতুন কাউকে ট্রাই করবে।” ঋদ্ধির বক্তব্য দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) সিরিজের পরই কোচ রাহুল দ্রাবিড় ঘুরিয়ে তাঁকে অবসর ঘোষণার পরামর্শ দেন। বুঝিয়ে দেন, জাতীয় দলের দরজা তাঁর জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতদিন দলের অংশ ছিলেন বলেই প্রটোকল মেনে এসব বলতে পারেননি।
[আরও পড়ুন: দেশের ৬টি ভেন্যুতে হতে চলেছে আইপিএল ১৫! সামনে এল ফাইনালের দিনক্ষণও]
ঋদ্ধির আক্ষেপ, কানপুরে ৬১ করার পর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) নিজে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘যতদিন আমি আছি ততদিন তোর কোনও চিন্তা নেই।’ বঙ্গ উইকেটরক্ষক বলছেন,”বোর্ড প্রেসিডেন্ট নিজে যখন এভাবে পাশে থাকার কথা বলেন, তখন ভাল লাগে। আমিও বুস্ট আপ হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর কয়েক মাসের মধ্যে কী হল, কে জানে!”
ঋদ্ধি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে যতই ঘুরিয়ে অবসর নিতে বলা হোক না কেন, তিনি এখনই খেলা ছাড়ছেন না। বাংলার হয়ে আগামী মরশুমের রনজি খেলবেন। বাংলা দল যদি এবছর পরবর্তী রাউন্ডগুলিতে কোয়ালিফাই করে, আর সিএবি যদি চায়, তাহলে এই মরশুমেও ফের বাংলার জার্সি গায়ে দেখা যেতে পারে তাঁকে।