সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋদ্ধিমান সাহার একটা টুইট। আর তাতেই উত্তাল হয়েছিল গোটা ভারতীয় ক্রিকেট মহল। বাংলার উইকেটকিপার জানিয়েছিলেন, সাংবাদিকের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। যে ঘটনার জল গড়ায় অনেক দূর। ২ বছরের জন্য বিশিষ্ট ওই সাংবাদিককে নির্বাসিতও করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই ইস্যুতে বহু অনুরাগীকে ঋদ্ধিমান পাশে পেলেও অনেকেই তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেননি। কিন্তু কেন বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছিলেন ভারতীয় উইকেটকিপার? এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
কয়েক মাস আগের ঘটনা। ভারতীয় দলে (Team India) সুযোগ না পাওয়ায় মন খারাপ ছিল ঋদ্ধির। সেই সময় এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য ফোন করেছিলেন। তিনি তা না দিতে চাওয়ায় ওই সাংবাদিক রীতিমতো ‘হুমকি’র সুরে হোয়াটসঅ্যাপ করেছিলেন ঋদ্ধিমানকে (Wriddhiman Saha)। নাম প্রকাশ না করেই সেই চ্যাট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন তিনি। যা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে তোলপাড় পড়ে যায়। অভিযুক্ত সাংবাদিক আবার পালটা দাবি করেন, তাঁর চ্যাটের বিকৃত স্ক্রিনশট সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ঋদ্ধি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে বোর্ড তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। বোর্ডের ওই কমিটি ঋদ্ধিমান এবং অভিযুক্ত ওই সাংবাদিকের সঙ্গে কথাও বলেন। তারপর কমিটি নিজেদের রিপোর্ট জমা করে। শেষমেশ বোর্ডের কড়া শাস্তির মুখে পড়েন ওই সাংবাদিক।
[আরও পড়ুন: AFC এশিয়ান কাপে সঙ্গে চাই সৌভাগ্য, ভারতীয় দলের জন্য ১৬ লক্ষ টাকায় আনা হল জ্যোতিষী!]
ঋদ্ধিমানের কথা, “গোটা বিশ্বকে জানাতে চেয়েছিলাম যে আজকাল সাংবাদিকরা একটা সাক্ষাৎকার পেতে কোন পর্যায়ে পৌঁছে যান। পরে এও জানতে পারি, এই প্রথম নয়। সাক্ষাৎকার পেতে এর আগেও নাকি এমন কাজ করেছেন তিনি।” এরপরই যোগ করেন, “শুরুতে আমি বিষয়টা সামনে আনতে চাইনি। কারণ প্রত্যেকেরই নিজস্ব কেরিয়ার রয়েছে। কিন্তু উলটো দিকের লোকটা এমন বিষয়ের জন্য যদি অনুতপ্ত না হন, তাহলে আর কতদিন মুখ বুজে থাকা যায়।” অর্থাৎ এমন ঘটনাকে চুপচাপ সহ্য করতে না পেরেই সবটা জানিয়েছিলেন বলে দাবি ঋদ্ধির।
বিবিসিআইয়ের (BCCI) তরফে বলা হয়, নির্বাসিত থাকাকালীন ওই সাংবাদিক বোর্ড আয়োজিত কোনও ম্যাচ বা ইভেন্ট কভার করতে পারবেন না। এমনকী তাঁকে মাঠেও ঢুকতে দেওয়া যাবে না। আইসিসিকেও (ICC) চিঠি লিখে অভিযুক্ত সাংবাদিককে ‘ব্ল্যাকলিস্ট’ করতে বলা হয়েছিল বলে জানা যায়।