সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তাইওয়ানে পৌঁছলেন মার্কিন সেনেটর মার্শা ব্ল্যাকবার্ন। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে মোটেও ভয় পান না তিনি। কমিউনিস্ট দেশটির হাজার হুমকি সত্ত্বেও তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াবে আমেরিকা।
গত জুলাই মাসে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই আগ্রাসী হয়েছে চিন। তাইওয়ানকে ঘিরে ধরে সামরিক মহড়াও চালায় লালফৌজ। শুধু তাই নয়, চাপ তৈরি করতে লাগাতার স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে অনুপ্রবেশ করছে চিনা যুদ্ধবিমান। এহেন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মাঝেই বৃহস্পতিবার তিনদিনের সফরে তাইওয়ান পৌঁছন টেনেসির রিপাবলিকান সেনেটর মার্শা ব্ল্যাকবার্ন। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের অধিকার রক্ষায় আমি সবসময় তাইওয়ানের পাশে থাকব। জিনপিংকে ভয় পাই না আমি।” সূত্রের খবর, সফরকালে তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী জোসেফ উও ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান ওয়েলিংটন কু-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি ভারত, জল্পনা উড়িয়ে জানাল বিদেশমন্ত্রক]
মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান (Taiwan) সফরের পর থেকেই আগ্রাসী ‘ড্রাগন’। যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে কয়েকদিন আগেই তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করে ৫১টি যুদ্ধবিমান। শুধু তাই নয়, স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়েছিল ছ’টি চিনা রণতরীও। পালটা, বেশ কয়েকটি ফাইটার জেট পাঠিয়ে কড়া বার্তা দেয় দ্বীপরাষ্ট্রটির সেনাবাহিনী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সম্প্রতি একটি অত্যাধুনিক মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে লালফৌজ। তারপর ফের তাইওয়ানের কাছে পেশীশক্তির প্রদর্শনে তুঙ্গে জল্পনা।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই শি জিনপিং সরকার জানিয়ে দেয়, তারা হংকংয়ের মতোই তাইওয়ানেও যে ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা তারা ফিরিয়ে নিচ্ছে। ঠিক কী ছিল সেই প্রতিশ্রুতি? ২০০০ সালে যে শ্বেতপত্র চিন প্রকাশ করেছিল, সেখানে জানানো হয়েছিল, যদি কখনও তারা দ্বীপরাষ্ট্রটি দখল করে তাহলে সেখানে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করবে না। সেখানে থাকবে স্বশাসিত সরকার। কিন্তু এবার বেজিং জানিয়ে দিল, এই প্রতিশ্রুতি তারা আর দিচ্ছে না। এরই পাশাপাশি চিন (China) জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক এই ইস্যুতে কোনও তৃতীয় তৃতীয় পক্ষের উসকানি সহ্য করা হবে না। এই বিবৃতি থেকে পরিষ্কার, তারা আমেরিকার উপরেও চাপ বজায় রাখতে চাইছে।