সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ সীমান্তে চিন সেনার (PLA) যুদ্ধ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই সঙ্গে সীমান্তে মোতায়েন সেনার মনোবল বাড়াতে বিশেষ বক্তৃতাও দিয়েছেন তিনি। চিনের মিডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সীমান্তে মোতায়েন থাকা সেনার (China Army) সঙ্গে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট। গত কয়েক বছরে লাদাখের পরিস্থিতি অনেক পালটে গিয়েছে, সেই জন্যই সেনাকে সমস্ত সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছেন জিনপিং। তবে সশরীরে সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন না প্রেসিডেন্ট। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালফৌজকে উৎসাহ জোগান তিনি।
জানা গিয়েছে, সেনার উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন জিনপিং (Xi Jinping)। সীমান্ত এলাকায় কেমন কাজ করছে লালফৌজ, শত্রু দেশের আক্রমণের পালটা দেওয়ার জন্য তারা তৈরি আছে কিনা- সমস্ত বিষয়ই পর্যবেক্ষণ করেন প্রেসিডেন্ট। কঠিন পরিবেশে কেমন আছেন সৈনিকরা, তার খোঁজখবর নেন। তারপর ভিডিও বার্তায় বলেন, সেনার প্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিসপত্র দ্রুত পৌঁছে দেওয়া হবে। জিনপিং বলেছেন, “সীমান্তে খুব ভাল কাজ করছে সেনা। ভবিষ্যতেও একই ভাবে বীরত্ব সহকারে এগিয়ে যাবে লালফৌজ। দেশের ইতিহাসে নয়া অবদান রাখবে তারা।” প্রসঙ্গত, পূর্ব লাদাখের এই সীমান্তেই ২০২০ সালে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল দুই দেশের সেনা।
[আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকের মন্দিরে হামলা, বিপুল ধনসম্পদ চুরি করে পালাল দুষ্কৃতী]
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই চিন সীমান্ত নিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছিলেন ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। সেনার দিবসের অনুষ্ঠানে মনোজ বলেন, “আমাদের ইস্টার্ন কমান্ডের অন্তর্ভুক্ত এলাকার উল্টোদিকে চিনা সেনার সক্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে। দেশের উত্তর-পূর্ব দিকে লালফৌজের সক্রিয়তার দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। তবে সীমান্তে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। দু দেশের সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদের অনেকটাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া গিয়েছে। তাও সেনাবাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিনা সীমান্তে কিছু পরিমাণ সেনা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের তৈরি রাখতে চাইছে ভারত। কারণ সীমান্তে লালফৌজ কী ধরনের পরিবর্তন করতে চলেছে, তা চট করে নজরে পড়ে না। প্রসঙ্গত, তাওয়াং সংঘর্ষের পরে একাধিক উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছিল, ভারত সীমান্তে সেনা ও আধুনিক সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে চিন। সেই সময়েই বিশেষ সতর্কতা জারি করে বায়ুসেনা। সীমান্ত সংলগ্ন ঘাঁটিতে শক্তিশালী যুদ্ধবিমানগুলিও প্রস্তুত রাখা হয়। সীমান্তে মহড়াও শুরু করে বায়ুসেনা। সেই পরিস্থিতিতেই সীমান্তে মোতায়েন সেনার মনোবল বাড়াতে জিনপিংয়ের বিশেষ বার্তা থেকেই পরিষ্কার, ভারতের বিরুদ্ধে শক্তি বাড়াচ্ছে চিন।