সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে নাও আসতে পারেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ইতিমধ্যেই নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে বিতর্ক তৈরি করেছে চিন। যা নিয়ে কমিউনিস্ট দেশটির সঙ্গে ভারতের সংঘাত আরও তীব্র হচ্ছে। এই আবহে নয়াদিল্লিতে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
আগামী সপ্তাহে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দু’দিনের এই সামিটে যোগ দিতে ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফলে একই মঞ্চে মোদি-বাইডেন-জিনপিংকে দেখার জন্য মুখিয়ে গোটা দুনিয়া। কিন্তু চিনের প্রেসিডেন্টের ভারতে আসা নিয়ে দেখা দিল অনিশ্চয়তা। রয়টার্স সূত্রে খবর, জি-২০ সম্মেলনের জন্য ভারতে নাও আসতে পারেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর বদলে এই সামিটে যোগ দিতে পারেন চিনের প্রিমিয়ার লি কিয়াং।
[আরও পড়ুন: ফের জাপান সাগরে মিসাইল ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া, যুদ্ধপ্রস্তুতি কিমের?]
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট দেশের নতুন সরকারি ম্যাপ প্রকাশ করে চিন। সেখানে অরুণাচল প্রদেশকে নিজের বলে দাবি করেছে তারা। এমনকী আকসাই চিনও নাকি তাদের, দাবি বেজিংয়ের। এরপরই জিনপিং প্রশাসনের নিন্দায় সরব হয় মোদি সরকার। চিনের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেন, এইরূপ ম্যাপ প্রকাশই চিনের অভ্যাস। ভারতের এমন কটাক্ষের পর পালটা আক্রমণ করে চিনের বিদেশমন্ত্রক জানায়, ”আমরা আমাদের ভূখণ্ডের সীমানা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আইন মেনেই নতুন ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই নিয়ে বেশি ভাবার কোনও কারণ নেই।” এরপরই নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়, আদৌ কী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখোমুখি হবেন জিনপিং?
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকায় সদ্য সমাপ্ত ব্রিকস সামিটে জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মোদি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক নিয়ে ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানান, জিনপিংকে সাফ বার্তা দিয়েছেন মোদি। নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বজায় রাখা কতটা দরকার, সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জিনপিংকে বলেছেন, ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য নিয়ন্ত্রণরেখার সম্মান ধরে রাখা জরুরি। তারপরেও চিন নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে যা যা দাবি জানিয়েছে তাতে বেজায় চটেছে ভারত। এই প্রেক্ষাপটেই বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ম্যাপ বিতর্কের ছায়া পড়েছে জি-২০ সামিটে।