shono
Advertisement

জিনপিংয়ের হাতে হাত বাইডেনের, নজরকাড়া বৈঠকে ‘দুই মেরু’র রাষ্ট্রপ্রধান

সোভিয়েত পরবর্তী বিশ্বে আধিপত্যের লড়াই চলছে দুই মহাশক্তির মধ্যে।
Posted: 05:11 PM Nov 14, 2022Updated: 05:11 PM Nov 14, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যাপিটালিস্ট আমেরিকা বনাম কমিউনিস্ট চিন! সোভিয়েত পরবর্তী বিশ্বে আধিপত্যের লড়াই চলছে দুই মহাশক্তির মধ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বৈঠকে বসলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধান জো বইডেন। গোটা বিশ্বের নজরকাড়া এই বৈঠকে আপাতত সংঘাত এড়িয়ে সহাবস্থানের বার্তাই দিলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

Advertisement

আজ বালিতে একত্রিত হয়েছেন জি-২০ দেশগুলির প্রধানরা। সেখানে সম্মেলনের ফাঁকে নুসাদুয়া সমুদ্রতীরের বিলাসবহুল রিসোর্টে আলোচনার টেবিলে দেখা যায় জিনপিং ও বাইডেনকে (Joe Biden)। বৈঠকের শুরুতে হাতে হাত রেখে হাসিমুখে ছবি তোলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সিএনএন সূত্রে খবর, দোভাষীর মাধ্যমে বাইডেনের উদ্দেশে জিনপিং বলেন, “আপনাকে দেখে ভাল লাগল।” পালটা অভিবাদন জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, বালির সমুদ্র সৈকতে যে কূটনৈতিক ‘উষ্ণতা’ দেখা গিয়েছে, তাতে কি সম্পর্কের বরফ গলবে?

[আরও পড়ুন: তরুণীকে কেটে ৩৫ টুকরো করল লিভ-ইন পার্টনার! ১৮ দিনে দেহ ছড়াল দিল্লিজুড়ে!]

বৈঠকের শুরুতেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তা দিয়ে বাইডেন বলেন, “আপনার (শি জিনপিং) সঙ্গে আমি ব্যক্তিগত ও সরকারি দুই স্তরে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। কারণ, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু করতে পারব আমরা। আমি মনে করি, চিন ও আমেরিকা মতানৈক্য দূরে সরিয়ে সংঘাত এড়াতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, বিশ্বের স্বার্থে বেশ কিছু বিষয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারব।”

এদিকে, বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার শুরুতে প্রেসিডেন্ট জিনপিং (Xi Jinping)) মন্তব্য করেন, “এই বৈঠকের দিকে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এমন একটা পর্যায়ে রয়েছে যা নিয়ে আমাদের অনেক ভাবতে হচ্ছে। এটা কারও পক্ষেই ভাল নয়। এবং বিশ্বও (আমেরিকা-চিন সংঘাত) এমনটা চায় না। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আমাদের এক নতুন ও সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। গোটা পৃথিবী আমাদের দেখছে। বিশ্বে শান্তি, স্থিতাবস্থা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

উল্লেখ্য, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে আমেরিকা। নৌবহর পাঠিয়ে পেশীশক্তির আস্ফালনও করেছে ওয়াশিংটন। কয়েক মাস আগে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তাপ চরমে পৌঁছয়। এখনও পর্যন্ত বেজিংয়ের ‘এক চিন’ নীতিতে সম্মতি দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে আমেরিকা। কিন্তু তাইওয়ানে হামলা করলে লালফৌজের বিরুদ্ধে আমেরিকা পদক্ষেপ করবে বলেও আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জো বাইডেন। এছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বেজিং।  

[আরও পড়ুন: ইস্তানবুল বিস্ফোরণের নেপথ্যে কুর্দ বিদ্রোহীরা, গৃহযুদ্ধের দামামা তুরস্কে!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement