সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজীবন প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে চান শি জিনপিং! এরকমই জল্পনা শুরু হয়েছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির অন্দরমহলে। চর্চা চলছে বিশ্ব রাজনীতিতেও।
[আরও পড়ুন: এবার রাশিয়া, ‘আল্লাহু আকবর’ বলে পুলিশকর্মীদের উপর হামলা মুসলিম জঙ্গির]
তা আচমকা এহেন জল্পনা কেন? উত্তর, জল্পনার কারণ জিনপিংয়ের (Xi Jinping) সিদ্ধান্ত। ২০৩৫ সাল পর্যন্ত দেশের উন্নয়নের রূপরেখা ও কৌশলগত অবস্থান নিয়ে ব্লু প্রিন্ট পেশ করেছেন তিনি। ২০৩৫ সাল পর্যন্ত দেশের আর্থ সামাজিক ও সামরিক পরিকাঠামোয় কী কী সংস্কার করা উচিত, বিশ্ব রাজনীতিতে চিনের ভূমিকা কী হওয়া উচিত তা নিয়ে তৈরি করেছেন ভিশন ২০৩৫। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে ততদিন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকতে চান তিনি? নিয়ম ভেঙে কমিউনিস্ট পার্টি তাঁকে তৃতীয়বারের জন্য কি প্রেসিডেন্ট থাকার অনুমতি দেবে? ২০২২ সালে জিনপিংয়ের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এখন তাঁর বয়স ৬৭। চিনের সংবিধান এবং কমিউনিস্ট পার্টির প্লেনামে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেউই দু’বারের বেশি চিনের প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন না। তবে লার্জার দ্যান লাইফ জিনপিং এরই মধ্যে প্রভাব প্রতিপত্তিতে এবং জনপ্রিয়তায় ছাপিয়ে গিয়েছেন তাঁর পূর্বসুরি দেং জিয়াওপিং ও মাও জে দংকে। বলে রাখা ভাল, ২০১৭ সালে দলে ‘যৌথ নেতৃত্ব’ (collective leadership) প্রথায় ইতি টেনে নিজের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করেন জিনপিং। ফলে তাঁর কথাই সেনা ও দলেম শেষ কথা হয়ে দাঁড়ায়। মাওয়ের স্বৈরাচারী শাসন দেখে চিনা জনগণকে একনায়ক তন্ত্রের হাত থেকে বাঁচাতে এই যৌথ নেতৃত্ব ব্যবস্থা শুরু করেছিলেন দেং জিয়াওপিং।
যদিও মেয়াদ শেষে প্রেসিডেন্ট পদ ধরে রাখা নিয়ে সরাসরি কখনওই মুখ খোলেননি জিনপিং। সেই দিকেই যথেষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বিগত কয়েক বছরে চিনের শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টির অন্দরে নিজের অবস্থান অতযত্ন মজবুত করেছেন তিনি। দুর্নীতি দমনের নামে একে একে বিরোধীদের হয় জেলে পুড়েছেন, নয় দলছাড়া করেছেন জিনপিং। সদ্য দলের চারদিনের প্লেনামেও জিনপিংয়ের পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে দলীয় নীতি ভাঙতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না জিনপিংকে। ফলে আজীবন চিনের প্রেসিডেন্ট পদে থেকে যেতে পারেন ৬৭ বছরে শি বলেই মনে করছেন অনেকে।