সুপর্ণা মজুমদার: ভাগ্যিস! এই সিনেমা টিকিট কেটে সিনেমা হলে গিয়ে দেখতে হয়নি। ১৫ অক্টোবর সিনেমা হলগুলি খোলার আগেই তা নেটফ্লিক্সে (Netflix) মুক্তি পেয়েছে। দিন প্রতি প্রায় ছ’টাকা বিনিময়েই দেখে ফেলা গিয়েছে ‘গিনি ওয়েডস সানি’ (Ginny Weds Sunny)। খুব একটা গায়ে লাগে নি। নইলে যতটা কষ্ট বিক্রান্ত মেসির (Vikrant Massey) চরিত্রকে ইয়ামি গৌতমের (Yami Gautam) চরিত্রের মন পেতে করতে হয়েছে, তার থেকেও বেশি কষ্ট নিজের সময় ও অর্থ খরচ করতে হত।
দিল্লির প্রেক্ষাপটে গতে বাঁধা গল্প। বাবার হার্ডওয়্যারের দোকনের জায়গা নিয়ে রেস্তরাঁ তৈরি করতে চায় সানি। আর এই দোকান পেতে গেলে বিয়ে করতে হবে তাকে। কিন্তু কোনও পাত্রী সানিকে বিয়ে করতে রাজি হয় না। উলটো দিকে গিনির প্রেমের পরিস্থিতি বেশ জটিল। প্রাক্তন নিশান্তের (সুহেল নায়ার) সঙ্গে ব্রেকআপ-প্যাচআপ লেগেই রয়েছে। গিনিকে ছোটবেলা থেকেই পছন্দ সানির। কখনও হালে ‘পাণি’ পায়নি। কিন্তু গিনির মা শোভা জুনেজার (আয়েশা রাজা মিশ্র) আবার সানিকে বড় পছন্দ। মায়ের সাহায্যে মেয়ের মন পেতে ঢাল-তলোয়ার নিয়ে প্রেমের ময়দানে নেমে পড়ে নিধিরাম সর্দার থুড়ি সানি। এরপর কী হয়? তা আর আমার লেখার প্রয়োজন নেই। ভারতীয় দর্শকের কাছে এমন গল্পের পরিণতি অবধারিত।
[আরও পড়ুন: ছেলের সিনেমার গানের ছন্দে নাচ নীতু কাপুরের, আলিয়া-রণবীরের বিয়ের প্রস্তুতি? প্রশ্ন নেটদুনিয়ায়]
সময় পালটেছে। দর্শকের প্রত্যাশা পালটেছে। সেই অনুযায়ীই সিনেমাকেও পালটাতে হবে। এটা বুঝতে হবে পরিচালক পুনীত খান্নাকে (Puneet Khanna)। বিনোদন জগতে সাফল্যের কোনও চেনা ফরমুলা হয় না। ফরমুলার ভরসায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের পক্ষে প্রকৃত মনোরঞ্জন করা সম্ভব হয় না। জোর করে যেমন ‘ফেমিনিজম’ প্রতিষ্ঠা করা যায় না, তেমনই অবাঞ্ছিত সংলাপে চিত্রনাট্য জোরদার হয় না। বিক্রান্ত মেসি ভাল অভিনেতা। তবে তাঁর এবার সিনেমা বাছার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হওয়া উচিত। একজন অভিনেতাকে নিজের ইমেজ ভাঙতে গেলে খুব সতর্ক থাকতে হয়। খেয়াল রাখতে হয় যাতে এতদিন ধরে তিল তিল করে গড়ে তোলা পুরনো ইমেজ ধ্বংস না হয়ে যায়। ইয়ামি গৌতম যেন গোটা সিনেমায় শুধু সংলাপ মুখস্ত পড়ে গিয়েছেন। চিত্রনাট্য দুর্বল থাকলে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সত্যিই কিছু করার থাকে না। ‘গিনি ওয়েড সানি’র বিবাহ বাসরেও কারও কিছু করার ছিল না। দুই ঘণ্টা ধরে কেবল সহ্য করা ছাড়া।