সংবাদ প্রতিদিন জিডিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেই ‘টিপু জয়ন্তী‘ বন্ধের নির্দেশ দিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। বিগত কয়েক বছর ধরে নভেম্বর মাসে টিপু সুলতানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হত রাজ্য সরকারের তরফে। কিন্তু, এবছর থেকে তা বন্ধ করার নির্দেশ দিলেন সদ্য আস্থা ভোটে জয়ী হওয়া ইয়েদুরাপ্পা। সোমবার আস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার পর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নতুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে। তারপরই রাজ্যের সংস্কৃতি দপ্তরকে এই অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছে কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি।
[আরও পড়ুন: উন্নাও কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব প্রিয়াঙ্কা, দেখতে যাচ্ছেন নির্যাতিতাকে]
এপ্রসঙ্গে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, “আমিই প্রথম টিপু জয়ন্তীতে অনুষ্ঠান করা শুরু করি। কারণ, আমি মনে করি তিনি ছিলেন দেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী। বিজেপির লোকজন ধর্মনিরপেক্ষ নয়।”
২০১৫ সালে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া কর্ণাটকে টিপু জয়ন্তী পালন করা শুরু করেন। এরপর থেকে প্রতিবছর মহীশূরের শাসক টিপু সুলতানের জন্মজয়ন্তী পালন করা হচ্ছিল কর্ণাটকে। যদিও কংগ্রেস ও জেডি(এস) জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরে কিছুটা বদলে গিয়েছিল ছবিটা। সরকারের তরফে অনুষ্ঠান করা হলেও তাতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেন না মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। তবে টিপু জয়ন্তী বন্ধের দাবিতে বিজেপির তরফে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখানো হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি সরকার। বিজেপি টিপু সুলতানকে অত্যাচারী শাসক হিসেবে চিহ্নিত করে কর্ণাটকে তাঁর জন্মদিন পালনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু, কংগ্রেস ও জেডি(এস)-র তরফে দাবি করা হয়, টিপু একজন মহান শাসক ছিলেন। দেশের জন্য ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শহিদ হয়েছিলেন। তাই তাঁর অবদানকে স্বীকৃতি দিতে এই অনুষ্ঠানের প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: ফাঁদ পেতেছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরাই! উন্নাওয়ের নির্যাতিতার দুর্ঘটনায় উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
কিন্তু, এবার ক্ষমতায় আসার পরেই এই অনুষ্ঠান বন্ধের জন্য আবেদন জানান বিজেপি বিধায়ক বোপাইয়া। আর তাঁর এই আবেদনের ভিত্তিতে টিপু জয়ন্তী বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
The post মুখ্যমন্ত্রী হয়েই ‘টিপু জয়ন্তী’ বন্ধের নির্দেশ ইয়েদুরাপ্পার, নিন্দায় সরব বিরোধীরা appeared first on Sangbad Pratidin.