সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর ব্যালেস্টিক মিসাইল ছুঁড়ছে ইয়েমেনের সশস্ত্র হাউথি গোষ্ঠী। অন্যদিকে, লেবাননের হেজবোল্লাও আক্রমণাত্মক। হুঙ্কার দিচ্ছে ইরানও। ফলে ইজরায়েলের সামনে একাধিক ফ্রন্টে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
শেষ পাওয়া খবরের মতে, ইজরায়েলি ভূখণ্ডকে নিশানা করে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছে হাউথিরা। তবে আছড়ে পড়ার আগেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে ইজরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘অ্যারো’ বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এর আগেও বহুবার হাউথিদের হামলার ছক বানচাল হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)।
টাইমস অফ ইজরায়েলের খবর মোতাবেক, দক্ষিণ ইজরায়েলের ইলাত শহর লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়ে হাউথিরা (Houthis)। যদিও ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইজরায়েলের আকাশসীমায় মিসাইলগুলো প্রবেশ করতে পারেনি। তার আগেই সেগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে আইডিএফের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ইজরায়েলে হাউথিরা নিশানায় আঘাত হানতে পারেনি। সাধারণ মানুষদেরও কোনও ক্ষতি হয়নি।’ এই হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হাউথিদের নিশানায় রয়েছে ইলাত শহর।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলি সেনার ‘চক্রব্যূহে’ হামাসের প্রতিষ্ঠাতা, নেতানিয়াহু বলছেন, ‘আর কিছুক্ষণ…’]
বলে রাখা ভালো, এর আগেও ইজরায়েলের (Israel) দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইয়েমেনের সশস্ত্র হাউথি গোষ্ঠী। কিন্তু সেগুলো মার্কিন নৌসেনার দ্বারা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ বার বারই তাদের হামলার ছক বানচাল হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ইয়েমেন থেকে ইজরায়েলের দুরত্ব ২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। হাউথিদের ভাণ্ডারে এতটা দূরে আঘাত হানার মতো কোনও মিসাইল নেই। এখানেই প্রশ্ন উঠছে প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা জেনেও কেন বারবার হামলা চালাচ্ছে তারা?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, হাউথিরা প্যালেস্টাইনের হয়ে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে নামলেও তাদের আসল টার্গেট তেল আভিভ নয়। এর পিছনে রয়েছে অন্য সমীকরণ। হাউথিদের নিশানায় আসলে সৌদি আরব। যারা আমেরিকাপন্থী। মার্কিন প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করতে উদ্যোগী হয়েছে রিয়াধ। কিন্তু বাধ সেধেছে হামাস-ইজরায়েলের লড়াই। ফলে ইরানের অঙ্গুলি হেলনে ইহুদি দেশটিতে আক্রমণের মাধ্যমে মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে চাইছে হাউথিরা। এভাবেই সৌদি আরবকে মুসলিম বিশ্বে কোণঠাসা করার ছক কষছে তেহরান।