ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তাঁর কংগ্রেস ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ থেকে ‘ন্যায় যাত্রা’, রাহুল গান্ধীর পাশে পাশেই দেখা যায় তাঁকে। কেজরিওয়ালের ‘আপ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হওয়া সত্ত্বেও মতানৈক্যের জেরে দল ছেড়ে বেরিয়ে নিজের রাজনৈতিক দল তৈরি করেছিলেন। ‘স্বরাজ অভিযান’ নামে সেই দল দিল্লির নির্বাচনে অংশগ্রহণও করে। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে এবারের ‘ন্যায় যাত্রা’য়ও তাঁকে দেখা গিয়েছে। দিল্লির সেই রাজনীতিক যোগেন্দ্র যাদবকেই এবার দেখা গেল কলকাতার রেড রোডে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ধরনামঞ্চে। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার জন্য মমতাকে ভরিয়ে দিলেন প্রশংসায়। কংগ্রেস-তৃণমূল জোট জটিলতার আবহে যোগেন্দ্র যাদবের এই যোগদান নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
কথা ছিল, তিনি আসবেন। সেইমতো শনিবার দুপুরে যোগেন্দ্র যাদব (Yogendra Yadav) রেড রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনামঞ্চে পৌঁছে যান। তাঁকে স্বাগত জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। নিজের বক্তব্য থামিয়ে কিছু বলার অনুরোধও করেন। কিন্তু তখন যোগেন্দ্র যাদব বক্তব্য রাখেননি। পরে মমতার ভাষণ শেষ হওয়ার পর তিনি নিজের কথা বলেন। জানান, নির্দিষ্ট দলের হয়ে নয়, সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ধরনায় যোগ দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রামে আলাপ, তরুণীর খাবারে মাদক মিশিয়ে গণধর্ষণ ‘বন্ধু’র!]
যোগেন্দ্র যাদবের কথায়, ”বাংলা ছাড়া দেশ ভাবা যায় না। বাংলা স্বাধীনতা আন্দোলনে রক্ত দিয়েছে। আমি দিদিকে বলতে চাই, যে লড়াই আপনি করছেন সেটা শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের লড়াই, সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। তৃণমূল কংগ্রেস আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লড়াই করছেন, তা এই দেশকে, এই দেশের সংবিধানকে রক্ষা করার লড়াই। গোটা দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে। গোটা দেশে এই লড়াই ছড়িয়ে দিতে হবে।” বলেন, পুনে থেকে যুবকরা চিঠি পাঠিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের জন্য। এবারের লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) লড়াই শুধু দেশের সরকার গঠন নয়, দেশের সংবিধান বাঁচানোর লড়াই।
[আরও পড়ুন: আড়ালে বসে ষড়যন্ত্র, ‘পিকচারে’ না থেকেও নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা পার্থই! বিস্ফোরক CBI]
বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে মমতার সুরেই সরব হয়েছেন যোগেন্দ্র যাদব। বলেন, ”১০০ দিনে কাজ করে মানুষ টাকা পায়নি। এখানকার একজন মহিলা ৯০দিন করে ৩ বছর কাজ করেছে। উনি সবমিলিয়ে ৫৪ হাজার টাকা পান। সেটা দেয়নি। মোদিজি আপনাকে বলতে চাই, গরিবের পেটে লাথি মেরে কেউ ক্ষমতায় থাকে না। গরিবের অভিশাপ লাগে। ভোট হেরে পিছনের দরজা দিয়ে সরকার চালাচ্ছেন কেন? পরবর্তী ভোটের জন্য অপেক্ষা করেন না কেন?”