সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ময়ূর ভালোবাসেন? যদি ঘুম থেকে উঠে আপনার জানালার সামনে পেখম মেলে বসে থাকে একাধিক ময়ূর কিংবা আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন আর আপনার সেই যাত্রার সঙ্গীও যদি হয় ময়ূর! হ্যাঁ, খুব সহজেই এমনই এক জায়গায় ঘুরে আসতে পারেন, যেখানে প্রকৃতির কোলে আপনি এবং ময়ূরের দল।
হাতে আপনার দুদিন ছুটি। কিন্তু কোনও ভাবেই বুঝে উঠতে পারছেন না কোথায় যাবেন ঘুরতে। দিঘা, মন্দারমণি তো বহুবার যাওয়া। তাই এবার প্ল্যান করে ফেলুন, ওড়িশার ‘পিকক ভ্যালি’। কলকাতা থেকে এর দূরত্ব কিন্তু বেশি নয়। খুব সহজেই ট্রেনে কিংবা বাসে অথবা প্রাইভেট গাড়িতে পৌঁছে যেতে পারেন এই ভ্যালিতে।
[আরও পড়ুন: চেহারার কালো ছোপ দূর করতে পার্লারে ছুটছেন? ভুল করছেন না তো!]
কীভাবে যাবেন?
‘পিকক ভ্যালি’ যেতে হলে আসতে হবে কটকে। কটক থেকে ‘পিকক ভ্যালি’র দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। কটক থেকে যেতে বেশি সময় লাগে না। সিদ্ধেশ্বর পুলিশ ফায়ারিং গ্রাউন্ড এখন ‘পিকক ভ্যালি’ নামেই পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের বললে বা গাড়িওয়ালাদের বললে, খুব সহজেই পিকক ভ্যালির রাস্তা দেখিয়ে দেবে।
দোলের ২ দিনের ছুটি কাটানোর একটা অন্যরকম জায়গা এই পিকক ভ্যালি। মনটা একেবারে আলাদা রকম হয়ে যাবে এই ‘পিকক ভ্যালি’তে এলে। চারিদিকে সবুজ। কুল কুল করে বয়ে যাওয়া ছোট্ট নদী মন ভালো করে দেবে।
১৯৯৯ সালে সাইক্লোন বিধ্বস্ত ওড়িশায় একটি ময়ূরকে সেবা যত্নকরে সারিয়ে তুলেছিলেন পান্নু বেহরা নামে এক হোম গার্ড। তারপর থেকে একটা একটা করে ময়ূর সেখানে আসতে শুরু করে। এখানেই রয়েছে গেস্ট হাউস। ভাড়াও খুব একটা বেশি নয়। এদের অনলাইন পোর্টালে ঢুকে সহজেই বুক করতে পারেন এই গেস্ট হাউস।
অবশ্যই সঙ্গে রাখুন-
আপনার পরিচয়পত্র। আধার বা ভোটার কার্ড। রাখুন দরকারি ওষুধপত্র, হালকা গরম পোশাক। কারণ, রাতের বেলা কিন্তু আবহাওয়াটা বেশ ঠান্ডা।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় কী অ্যাকশন প্ল্যান? CAA নিয়ে ভাবছেন? একান্ত সাক্ষাৎকারে অকপট জুন]