ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ফের ডেঙ্গুতে নাবালকের মৃত্যু কলকাতায়। দিন কয়েক আগে জ্বর নিয়ে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিল সে। সূত্রের খবর, রিপোর্টে ডেঙ্গুর উপসর্গ পাওয়া গিয়েছিল। কিশোরের মৃত্যুতে হাসপাতালের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে মৃতের পরিবার।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ১৩ বছরের নাবালকটি নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনির বাসিন্দা। সেখানকারই একটি স্কুলের পড়ুয়া। ইতিপূর্বে ডেঙ্গুতে রাজ্যে একাধিক মৃত্যু হয়েছে। একাধিক জেলায় চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। এর মধ্যেই কিশোরের মৃত্যুতেতে বাড়ল উদ্বেগ।
[আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের দশম ডিভিশন ভাঙড়, আট থানার প্রতিটিতে ১৭৫ পুলিশকর্মী]
প্রসঙ্গত, ডেঙ্গুর মরশুমে পুরসভার চিন্তা রাস্তার দু’ধারের বাগান। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে বাঁশের বেড়া দিয়ে গাছ লাগানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি গাছ বসেছে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, আমহার্স্ট স্ট্রিট, এসএন ব্যানার্জি রোডে। বনসৃজন প্রকল্পের ঘিরে দেওয়া সে বাঁশের বেড়াতে থিকথিক করছে ডেঙ্গুর (Dengue Fever) মশার লার্ভা।
কোথায় কত ডেঙ্গুর মশা জন্মাতে পারে। তার হিসাব রয়েছে পুরসভার হাতে। সেই হিসাবই নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে। পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদের হিসাব অনুযায়ী, সারাদিনে একটা পড়ে থাকা টায়ারে জল জমে প্রায় পাঁচ হাজার এডিস মশা ডিম ফুটে বেরোতে পারে। বাড়ির টেবিলের ফুলদানির জমা জল থেকে প্রতিদিন একশো এডিশ মশা জন্মাতে পারে। আর বাঁশের মাথায় জল জমলে সেখান থেকে বেরোতে পারে সত্তর থেকে আশিটা এডিস ইজিপ্টাই! এই হিসাবেই বাড়ছে আতঙ্ক।