সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কল করে আত্মঘাতী যুবক। শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার যুবকের ঝুলন্ত দেহ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থানার ইস্তারণপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
বছর পঁচিশের বিজন পাইক বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল করেন। আত্মহত্যার কথা জানান। শুক্রবার সকালে তাঁকে ডাকাডাকি করা হয়। তবে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি তাঁর। ঘরের দরজা ঠেলে আত্মীয়রা ঢোকেন। দেখেন বিজন গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রায়দিঘি থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
[আরও পড়ুন: Mahalaya: বদলে যাচ্ছে মহালয়ার ভোর, এখন ইউটিউবেই বাজছে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর শ্লোক]
পরিবার সূত্রে জানা গিযেছে, ৮ বছর আগে প্রেমিকাকে বিয়ে করেন বিজন। দুজনের ৫ বছরের এক সন্তানও রয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই দম্পতির মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। পুত্রসন্তানকে স্বামীর কাছে রেখে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যায়। তার আগে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে ৭০ হাজার টাকার ঋণ নেন বিজনের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর লোকজন অফিসে ডেকে পাঠায় দম্পতিকে। বিজন তাঁর ঠাকুমার সঙ্গে সেখানে যান। গিয়ে দেখেন তাঁর স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনও সেখানে উপস্থিত।
বিজনের আত্মীয়দের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিজনই ঋণ নিয়েছে বলে একটি কাগজে জোর করে সই করিয়ে নেয়। তাতেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। বাড়ি ফিরে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে পুরনো অশান্তি ভুলে স্ত্রীকে ফের শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসার অনুরোধ করেন বিজন। না ফিরলে আত্মহত্যা করবেন বলেও জানান। তারপরই যুবক আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছে বিজনের পরিবার। শোকগ্রস্ত তাঁর প্রতিবেশীরাও। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রায়দিঘি থানার পুলিশ।