সৌরভ মাজি: যুবকের পেট থেকে মিলল আস্ত একটা ডিওডেন্ট্রের বোতল। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে বোতলটি বার করলেন। বোতলটি কীভাবে পেটে ঢুকলো তা ভেবেই হতবাক সকলে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থেকে যুবক চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারে পর তিনি আপাতত সুস্থ রয়েছেন। বুধবার পেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে জরুরি বিভাগে আসেন ওই যুবক। চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ভর্তি করে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। এক্সরে করে চিকিৎসকরা দেখেন,পেটের ভেতরে রয়েছে একটি আস্ত বোতল। ঢাকনা সহ তা প্রায় সাড়ে সাত ইঞ্চি লম্বা। দু’ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে পেট থেকে বোতলটি বের করা হয়। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগামী ৭ দিন যুবককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা?
চিকিৎসক অরিন্দম ঘোষ জানিয়েছেন, কোনও কারণে দিন ২০ আগে ডিওড্রেন্টের বোতলটি পায়ুদ্বার দিয়ে ঢুকে গিয়েছিল। তারপর থেকেই যুবক পেটের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। বর্ধমানে এসে চিকিৎসা করান তিনি। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, পেট কেটে বোতল বার করা হয়েছে। আপাতত রোগী স্থিতিশীল রয়েছেন। তবে ওই যুবকের খাদ্যনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেটি অবশ্য অস্ত্রোপচার করে ঠিক করা হয়েছে। অন্ত্রও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেখানেও ভবিষ্যতে অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ২৪ পরগনা থেকে আসা এই যুবককে অস্ত্রোপচার করে সুস্থ করে তোলা হয়েছে। এটা আমাদের কাছে একটা বড় ব্যাপার।
[আরও পড়ুন: দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর ছাদে মিলল খুদের দেহ, অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর, রণক্ষেত্র বীরভূম ]
এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে। কয়েকদিন আগে কাটোয়ার যবুকের সঙ্গে ঘটে এমনই ঘটনা। অস্ত্রোপচার করে ওই টর্চ বের করে যুবকের প্রাণরক্ষা করেছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কাটোয়ার গীধগ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক নিজেই তার পায়ুদ্বার দিয়ে প্রায় ১৪ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের টর্চটি ঢুকিয়েছিলেন। এরপর চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের তোড়জোড় শুরু করে দেন। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে অস্ত্রোপচার করে ওই টর্চটি বের করা হয়। শল্য চিকিৎসক তাপস সরকার বলেন, “এই অস্ত্রোপচারে ঝুঁকি ছিল। তবে অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। আমার দীর্ঘ চিকিৎসক জীবনে এরকম ঘটনা আগে দেখিনি। রোগী এখন বিপন্মুক্ত।” অস্ত্রোপচারের পর যুবক যখন কিছুটা সুস্থ হন তখন ফের তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়। সেই সময় যুবক জানান, দীর্ঘদিন ধরেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে। মানসিক হতাশায় তাই নিজেই ওই টর্চ পায়ুদ্বারে ঢুকিয়েছিলেন।