ধীমান রায়, কাটোয়া: মদ্যপ যুবকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে নিজের কান খোয়ালেন পুরকর্মী। প্রতিবেশী যুবক তাঁর কান কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার ঘটনায় রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে। রাক্ষস না হলে কেউ এমন কাজ করতে পারে, অভিযোগ আহতের। তিনি গুসকরা (Guskara) পুলিশ ফাঁড়িতে প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গুসকরা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা রাজা মাজি গুসকরা পুরসভার অস্থায়ী সাফাইকর্মী। অভিযুক্ত বুলান সরকার তাঁর প্রতিবেশী। রাজা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মদের নেশায় আসক্ত বুলান। তার বাড়িতে রয়েছেন বাবা রণজিৎবাবু, মা টুম্পাদেবী ও এক বোন। ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাত প্রায় সাড়ে নটা নাগাদ। রাজা বলেন, “আমি তখন বাড়ির কাছে ক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে তাস খেলছিলাম। রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরে বুলান। আসার পরেই ওর মা ও বোনের সঙ্গে বুলানের ঝামেলা লাগে। মা, বোনকে মারধর করতে থাকে। ওর মা তখন পাড়ার কাছাকাছি বুলানের পরিচিত একজনের কাছে নালিশ করতে যাচ্ছিলেন। ঝামেলা দেখে আমি প্রতিবেশী হিসাবে থামাতে যাই।”
রাজা মাজির কথায়,”আমি বুলানদের বাড়ির সামনে যেতেই কোনও কথা না বলে বুলান আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হাতে ধারাল অস্ত্রও ছিল। আমি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে পড়ে যাই। তখন ও আমার কান কামড়ে ছিঁড়ে নেয়। ও একটা রাক্ষস। না হলে এমন কেউ করতে পারে?”
[আরও পড়ুন: প্রতিশোধ নিতে পরকীয়ায় মগ্ন স্বামীকে খুন, সন্তানকেও হত্যায় অভিযুক্ত গৃহবধূ]
এদিন দুপুরে গুসকরা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে আসেন রাজা। এই ঘটনার জেরে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, পাড়ায় স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর মদতে রোজ মদের ঠেক বসানো হয়। সেখানে গিয়ে মদ্যপান করে বুলান ও কয়েকজন যুবক। আর মদ্যপানের কারণে প্রায়ই অনেক পরিবারে অশান্তি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ হাজরা বলেন,”মদের ঠেক বন্ধ করতে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে আগেও পুলিশকে জানানো হয়েছিল।” পুলিশ জানায় ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের সন্ধান চালানো হচ্ছে।