দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন বাবা। তা মানতে পারেননি ছেলে। সেই আক্রোশে বাবা এবং সৎ মাকে এলোপাথাড়ি ধারাল অস্ত্রের কোপ ছেলের। মৃত্যু হয়েছে বাবার। এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী। হুগলির জিরাট বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকার ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত।
প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাই সম্প্রতি অঞ্জনা নামে এক মহিলার সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন চন্দ্রকান্ত সাহা। জিরাট বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণ সাহার বাড়ি ভাড়া নেন। সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে সেখানেই থাকতে শুরু করেন। বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নিতে পারেনি চন্দ্রকান্তর ছেলে নীলকান্ত। মঙ্গলবার রাতে চন্দ্রকান্তর ছেলে ওই ভাড়াবাড়িতে যায়। শুরু হয় ঝগড়াঝাটি। কিছুক্ষণের মধ্যে আর্ত চিৎকার শুনতে পান স্থানীয়রা। দৌড়ে ঘটনাস্থলে যান তাঁরা। দেখেন ঘরের ভিতর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন চন্দ্রকান্ত ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জনা। ততক্ষণে অবশ্য নীলকান্ত ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: ধোপে টিকল না অসুস্থতার যুক্তি, ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রত]
স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই দম্পতিকে উদ্ধার করেন। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলার পর মৃত্যু হয় চন্দ্রকান্তর। তবে এলোপাথাড়ি ধারাল অস্ত্রের কোপে শ্বাসনালি কেটে গিয়েছে চন্দ্রকান্তর স্ত্রী অঞ্জনার। শ্বাসনালি থেকে পাইপের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে নিশ্বাসের বন্দোবস্ত করা হয়। তাঁদের চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বাড়ি মালিক রামকৃষ্ণ সাহা বলেন, “আমার মোবাইলের ব্যবসা। রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে দেখি অশান্তি হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর আর্তনাদ শুনি। ওদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যু হয় চন্দ্রকান্তর। তাঁর স্ত্রী এখনও চিকিৎসাধীন।” এই ঘটনায় অভিযুক্ত নীলকান্ত সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বলাগড় স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।