বাবুল হক, মালদহ: দশম শ্রেণির ছাত্রীর মুখ-হাত বেঁধে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) ইংরেজবাজার থানার শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর এলাকায়। নির্যাতিতা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি। এই ঘটনার পর থেকে ওই প্রতিবেশী যুবক ফেরার। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
রবিবার ওই ছাত্রীটি বাড়িতে একাই ছিল। অভিযোগ, সে সময় প্রতিবেশী যুবক শেখ রাইহান আসে। দরজা খুলতে বলে। তবে কিশোরী দরজা খুলতে রাজি হয়নি। অভিযোগ, এরপরই দরজা ভেঙে ফেলে প্রতিবেশী যুবক। কিশোরীর গায়ে থাকা ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে ফেলা হয়। হাত,পা-ও বেঁধে ফেলে সে। চিৎকার করতে থাকে কিশোরী। প্রতিবেশী যুবক আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। এরপর প্রতিবেশী যুবক ওই ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে।
[আরও পড়ুন: বগটুইতে মৃত্যু আরও একজনের, প্রাণ হারালেন ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হওয়া নাজেমা বিবি]
কিছুক্ষণ পর কিশোরীর পরিবারের লোকজন চলে আসে। ধর্ষণের কথা পরিজনদের জানায় কিশোরী। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। শারীরিক অবস্থারও অবনতি হতে থাকে। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে ইংরেজবাজার থানায় যায়। ওই প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। কিশোরীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বর্তমানে ছাত্রীটি ওই হাসপাতালেই ভরতি। চিকিৎসকদের দাবি, তাঁর যৌনাঙ্গের আঘাত বেশ গুরুতর। এদিকে, এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শেখ রাইহান এলাকাছাড়া। তার কোনও খোঁজই পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ তার খোঁজ শুরু করেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বসিরহাটের মাটিয়ায় (Matia) এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। মাটিয়ায় দিদির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল সে। ওই পাড়ার এক যুবক প্রেমের সম্পর্ক তৈরিক করে। উপহারের লোভ দেখিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি। তার চিকিৎসায় ৫ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ৩ ঘণ্টা ধরে কিশোরীর যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকেরা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাটিয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে একই ঘটনার সাক্ষী মালদহ।