দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে সারমেয়কে (Dog) খুনের মতো গুরুতর অভিযোগ। পশুহত্যা বিরোধী আইনে গ্রেপ্তার যুবক। সোনারপুর (Sonarpur PS) থানার অন্তর্গত চৌহাটি এলাকার ঘটনায় ধৃত যুবকের নাম বিষ্ণু দে। নিহত সারমেয়র মালিকের নাম জ্যোৎস্না মিত্র। তিনিই পুলিশের কাছে বিষ্ণুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে সোনারপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে যুবককে গ্রেপ্তার করে।
সপ্তাহ খানেক আগের ঘটনা। সোনারপুরের বাসিন্দা জ্যোৎস্না মিত্রের পোষ্য কুকুরকে কুড়ুল (Axe) দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এই মর্মে তিনি গত ১১ তারিখ সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু কেন এমনটা ঘটল? তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, জ্যোৎস্নাদেবীর প্রতিবেশী বিষ্ণু দে’র বেশ কয়েকটি গবাদি পশু আছে। ৩ তারিখ জ্যোৎস্নাদেবী তাঁর কুকুরকে নিয়ে ঘুরতে বেরলে আচমকাই কুকুরটি বিষ্ণুর ছাগলকে কামড়ে দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই প্রতিহিংসাবশত পোষ্যটিকে কুড়ুল দিয়ে পিটিয়ে মেরে (killing) ফেলা হয়।
[আরও পড়ুন: মালদহে জ্বরে আরও এক শিশুর মৃত্যু, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে গেল বিশেষজ্ঞ দল]
এমন নৃশংসভাবে সারমেয়কে খুনের ঘটনার খবর পৌঁছে যায় পশুপ্রেমীদের কাছে। এমনকী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধীর (Maneka Gandhi) দপ্তরেও জানানো হয় ঘটনাটি। মানেকা গান্ধী নিজে পশুপ্রেমী এবং সমাজকর্মী হিসেবে তাঁর কাজের ক্ষেত্র প্রাণীদের নিরাপত্তা। তবে এই ঘটনায় তাঁর দপ্তর থেকেও তেমন কোনও সাড়া না পেয়ে অবশেষে ১১ তারিখ জ্যোৎস্না মিত্র আগেই থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। কীভাবে কুড়ুল দিয়ে কুকুরের মাথায় মেরে রক্তাক্ত করে খুন করা হয়েছে, সেই বিবরণ অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন তিনি। আরও অভিযোগ, এহেন কাণ্ড ঘটানোর পরও অভিযুক্ত নাকি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তাঁকে কেউ কিছু করতে পারবেন না। কিন্তু যেহেতু বিষয়টি অনেক দূর পর্যন্ত গড়িয়ে গিয়েছিল, তাই পুলিশ তড়িঘড়ি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর কড়া শাস্তির দাবিতে সরব পশুপ্রেমীরা।