শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: দীর্ঘদিন ধরে একাধিক মামলার ভাগ্য ঝুলে রয়েছে আইনি গেরোয়। আদালতের সওয়াল-জবাবে দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে। অথচ রায় আর বেরচ্ছে না। কদ্দিনই বা ভাল লাগে এসব? মোটেই সহ্য করা যায় না! এসবই ভেবেছিল ঘাটালের (Ghatal) যুবক প্রিয়রঞ্জন বসু। মামলা নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতায় ভারী বিরক্তও হচ্ছিল। কিন্তু তার প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে যে সে এমন একটা কাণ্ড করে বসবে, কে-ই বা ভেবেছিল? অথচ বাস্তবে ঘটে গেল তাইই। আধলা ইট নিয়ে স্বয়ং বিচারপতিকেই (Judge)মারতে গেলেন! এই ঘটনায় শোরগোল ক্ষীরপাইয়ে। প্রিয়রঞ্জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনা শুক্রবারের। ওই দিন বেলার দিকে সাইকেল নিয়ে ঘাটাল মহকুমা আদালতে আসে প্রিয়রঞ্জন। স্ট্যান্ডে নিজের মোটর সাইকেলটি রেখে আধলা ইট নিয়ে রাস্তায় অপেক্ষা করতে থাকে। তাকে দেখে প্রথমে কারও কোনও সন্দেহ জাগেনি। কিন্তু হাতে এত বড় ইট দেখে সকলে ভয় পান। তাকে প্রশ্ন করা হয়, হাতে কেন ইট? সে সাফ উত্তর দেয়, ”বিচারককে মারব।”
[আরও পড়ুন: রেলের ইনস্পেকশন কারেই কাটা পড়লেন রেলকর্মী, ঘুরেও দেখলেন না আধিকারিকরা]
একথা শুনে আর কেউ ঝুঁকি নেননি। আদালতের নিরাপত্তারক্ষীরাও বিষয়টি জানতে পারে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘাটাল থানার পুলিশ তাকে প্রাথমিকভাবে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ করে বোঝা যায় আসল কারণ। প্রিয়রঞ্জন জানায়, ঘাটাল মহকুমা আদালতে একাধিক মামলা (Cases) চলছে তার বিরুদ্ধে। কোনওটারই ফয়সালা হয়নি। একটি মামলার নথি চেয়ে সে আবেদন করেছিল আদালতে। কিন্তু তা হাতে পায়নি। সেই রাগ মেটাতে বিচারকের মুখোমুখি হতে চায়। তবে তার দাবি, বিচারককে মারতে (Attempt to attack) চায়নি, ইট নিয়ে স্রেফ ভয় দেখাতে চেয়েছিল। তাতেই এত বড় কাণ্ড ঘটে গেল।
[আরও পড়ুন: আড়াই বছরের সন্তানের সামনেই ৭৯ দিন ধরে ধর্ষণ গৃহবধূকে! পলাতক অভিযুক্ত তান্ত্রিক]
পুলিশ প্রিয়রঞ্জনকে গ্রেপ্তার করে আপাতত নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনার জেরে আদালতের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে আদালতের বিচারকেরও। তবে এই ঘটনায় ক্ষীরপাই এলাকায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে।