চন্দ্রজিৎ মজুমদার,কান্দি: প্রেমিকাকে অপহরণ করে খুনের পর অভিযোগে প্রেমিককে গ্রেপ্তার করল ভরতপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে কান্দি থানার শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে অভিযুক্ত মহাদেব সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার অভিযুক্তকে কান্দি মহকুমা আদালতে হাজির করে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করলেও বিচারক ৫ দিন মঞ্জুর করেন।
কান্দি মহাকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী শুভ্র কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছিল এক সপ্তাহ আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে। ওই দিন গ্রামের গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রী রিঙ্কি সেন(১৫)। পরিবারের লোকেরা বহু খোঁজ খবর করেও তার হদিশ পায়নি। এক সপ্তাহ পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শক্তিপুর থানার বাবলা নদীর তীরে ওই স্কুল ছাত্রীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, মহাদেব সরকার ও তার বন্ধুরা ওই নাবালিকেক অপহরণ করে খুন করেছে। প্রমাণের লোপাটের জন্য দেহ নদীতে ফেলে চম্পট দেয়।
[আরও পড়ুন: ‘ছিঃ! এত পচা লোকজন তৃণমূল করে! কে ঢোকাল দলে?’, কুন্তল ইস্যুতে প্রশ্ন মদনের]
মেয়ের খুনের ঘটনায় মহাদেব সরকার যুক্ত বলে নাবালিকার পরিবার দাবি করে। এই মর্মে ভরতপুর থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ অভিযুক্ত মহাদেবকে গ্রেপ্তার করে। সরকারি আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, ওই স্কুল ছাত্রীর ঠাকুরমা রীতা সেন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন যে তাঁর নাতনিকে বহুদিন ধরে ভালবাসত মহাদেব। সে-ই এই ঘটনার সবকিছু জানে। পুলিশ তদন্ত করলেই সবকিছু প্রকাশ্যে আসবে। রীতা সেনের কথায়, “আমাদের ধারণা মহাদেব এবং তার বন্ধুরা মিলে নাতনির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে, খুন করে নদীতে ফেলে দিয়েছে দেহ। আমরা বিচার চাই।”