সৈকত মাইতি, তমলুক: মোবাইল গেম (Mobile Game) নিয়ে পারিবারিক বিবাদ চলছিলই। তবে তার পরিণতি যে এত মর্মান্তিক হতে পারে, আঁচ করেননি কেউই। বিবাদের জেরে দাদাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে যুবক। মাকে খুনের চেষ্টার পর আত্মঘাতী হয়েছে সে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার সুলতানপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
চন্দ্রকান্ত মণ্ডল নামে ওই যুবক মাত্র ২৫ বছর বয়সি। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিনরাত মোবাইল নিয়ে বসে থাকত সে। তা নিয়ে পরিজনদের আপত্তি। মোবাইল গেম নিয়ে দিনরাত দুই ভাইয়ের মধ্যে অশান্তি হত। দাদা সূর্যকান্ত বকাঝকাও করত তাকে। তবে রবিবার ভোরে আচমকাই বিবাদ গুরুতর রূপ নেয়। দাদাকে ধাকাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে চন্দ্রকান্ত। তা দেখে ফেলেন যুবকের মা। স্বাভাবিকভাবেই চোখের সামনে সন্তানের মর্মান্তিক পরিণতি সহ্য করতে পারেননি তিনি। বাধা দিতে যান। সেই সময় মাকেও খুনের চেষ্টা করে চন্দ্রকান্ত। এরপর বাড়ি ছেড়ে চলে যায় সে। ইতিমধ্যে ঘটনার খবর পায় চণ্ডীপুর (Chandipur) থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মা এবং বড় ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। চণ্ডীপুর এড়াশাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক জানান ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মায়ের চোট যথেষ্ট গুরুতর হওয়ায় তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
[আরও পড়ুন: দত্তপুকুরে দুর্ঘটনা, বাইক আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে গাছে ধাক্কা বাসের, জখম কমপক্ষে ১৮]
কিছুক্ষণের মধ্যে শোনা যায় অভিযুক্ত চন্দ্রকান্ত বিষ খেয়ে আত্মহত্যার (Suicide) চেষ্টা করেছে। কীর্তিমান ওই যুবককে ভগবানপুর থানার সরবেড়িয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রথমে তাকে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে অবস্থা আশঙ্কাজনক হয় তার। ওই যুবককে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মোবাইল গেমে আপত্তি করায় এই কাণ্ড ঘটল নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ।